লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও, ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান চাইলেন বিচারপতি সিনহা

দুর্নীতি মামলায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থা নিয়ে ইডি-কে বিশেষ নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একইসঙ্গে বিচারপতি ইডি-কে এও নির্দেশ দেন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর যাঁরা সদস্য, ডিরেক্টর, সিইও সবার সম্পত্তির খতিয়ান দিন। এই তদন্তে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে এবং চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত এমন ব্যক্তিদের সম্পত্তির খতিয়ানও সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ থেকে পুর নিয়োগ একের পর ইস্যুতে সামনে এসেছে দুর্নীতি। নিয়োগের ক্ষেত্রে হয়েছে বিপুল টাকার লেনদেনের অভিযোগ। চাকরি বিক্রির টাকা কার কাছে গিয়েছে তার খোঁজে ইডি ও সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার তত্ত্বাবধানে তল্লাশি সঙ্গে গ্রেফতারও করা হয়েছে অনেককেই। আর এবার এই

বৃহস্পতিবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল আদালতে। এদিন এজলাসে দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে আদালতে। সব নথি দেখে বিচারপতি ইডি-র উদ্দেশে বলেন, ‘যাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন? আপনাদের ডকুমেন্টস-এ দেখলাম কিছু নেই। এটা আমার দরকার।’

উল্লেখ্য, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জানিয়েছেন যে তিনি এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও। এছাড়া ওই সংস্থার ডিরেক্টর তাঁর বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে, ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত এই মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এদিন জানিয়েছে ২৫০ জনের ওএমআর শিট নিয়ে যে অভিযোগ ছিল, তার মধ্যে ১৪৮ জনের নিয়োগ সঠিক ছিল। বাকিদের ওএমআর শিট যাচাই করা হয়েছে কি না, সেগুলি কোথায়, তা এদিন জানতে চান বিচারপতি। বোর্ড জানিয়েছে সব ওএমআর ভেরিফিকেশন হয়েছে।

এদিন এই মামলার শুনানিতেই পুর নিয়োগ দুর্নীতির বহরকে বুর্জ খলিফা বলে আখ্যা দেয় সিবিআই। এর আগে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা আদালতে জানিয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে তাদের কাছে যা তথ্য আছে, তা নাকি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সমান। এদিন তারা বলে, ‘পুর নিয়োগ দুর্নীতিকে বুর্জ খলিফা বললেও ভুল হবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − four =