সমাজের অগ্রগতির সঙ্গে পরিবারে দম্পতির ভূমিকা সম্পর্কে অতীত ধারণা বদলে গিয়েছে। দুজনে ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠেন আলাদা পরিবেশে। ফলে পরিবারে সুস্থ পরিবেশ গঠনে দুজনের ভূমিকা হবে একে অন্যের পরিপূরক। কখনওই তা একতরফা হতে পারে না। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে যৌথভাবে স্বামী ও স্ত্রীকে উপযুক্ত পরিবারের পরিবেশ গড়তে উদ্যোগ নিতে হয়। স্বামীর ভূমিকা সেখানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, এমনটাই অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের। এমনকী সংবিধানেও লিঙ্গ সাম্যতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেও স্ত্রীর প্রতিতুলনায় স্বামীকে উচ্চতম আসন প্রদান গ্রহণযোগ্য নয়। মন্তব্য আদালতের।
আর এই অভিমতের ভিত্তিতেই খারিজ হল স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন। বিবাহিত সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য স্ত্রীর আবেদন গৃহীত। সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের।