বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বন্ধ রয়েছে আমদানি রফতানি। আর এই বানিজ্যিক আদান প্রদান বন্ধ থাকায় আঁচ পড়ছে ইলিশের এ রাজ্যে আমদানিতেও। বাংলাদেশ থেকে আসছে না ইলিশ। যার ফলে শারদোৎসবে ইলিশের বিভিন্ন পদের দেখা নাও মিলতে পারে খাদ্য প্রেমীদের পাতে।
বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এরাজ্য প্রবেশ করে ইলিশ। বাংলাদেশের অশান্তির কারণে বন্ধ রয়েছে বাণিজ্য। সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। মৎস ব্যাবসায়ীদের কথায় শারদীয়ার সময় যে সব ইলিশ বাজারে পাওয়া যায় তার আমদানি হয় এই অগাস্ট মাস থেকেই। উৎসবের সময় তা বাজারে ছাড়া হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন আমদানি না হওয়ায় এবছর শারদীয়ার সময় বাজারে ইলিশ দেখা যাবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
গত বছর রাজ্যের পক্ষ থেকে ৩০০০ মেট্রিক টন ইলিশ চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের কাছে। যা চাওয়া হয়েছিল তা দেওয়া হয়নি প্রতিবেশী উপ-মহাদেশের পক্ষ থেকে। মাত্র ৯০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো হয় রাজ্যে।
তবে এখন বাজারে যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তা কিনতে গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে অনেক মধ্যবিত্তকে। ২০০০ থেকে ২৩০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে সেই সব মাছ। ছোট মাছের দাম ১৫০০ টাকা। যার ফলে বৃষ্টি হলেও ইলিশের স্বাদ মেটাতে পারছেন না অনেকেই।