হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কথাকে ভুলভাবে উপস্থাপিত করা হচ্ছেঃ শমীক

হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে তীব্র আক্রমণ করে বসেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট কথা,  বিজেপি বঙ্গবাসী এবং বঙ্গভাষি বিরোধী।শুধু তাই নয়, তৃণমূল বলছে বাঙালি অস্মিতায় আঘাত। চলতি মাসেই বাংলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতেবিজেপি বাংলা বিরোধীএই লাইনে কর্মসূচিও নিতে চলেছে শাসকদল। তবে কুণালের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে এবার পাল্টা সুর চড়াতে দেখা গেল বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে। শমীকের দাবি, হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কথাকে ভুলভাবে উপস্থাপিত করা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, পাল্টা তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি। 

এদিকে আবার হিমন্তের বলা কথাকে কোট করে কুণাল লিখছেন, ‘মাতৃভাষা বাংলা লিখলেই বোঝা যাবে অসমে কত বিদেশি আছেঅসমের মুখ্যমন্ত্রী এসব কী চলছে?’ শমীকের দাবি, ‘হিমন্তের কথাকে ভুলভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। বাঙালি বলে চিহ্নিত বিতর্ক নয়। পশ্চিমবঙ্গে যারা বাংলায় কথা বলেন না, এখানে যারা দীর্ঘদিন ধরে থেকেছেন, সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন তারাও বাঙালি।এরপরই তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল বিদ্বেষের রাজনীতি করছে। একদিকে আপনি গুজরাতিদের উপর আক্রমণ করবেন আর গুজরাতে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা ভাল থাকবেন!’

এই বিতর্কের সূত্রপাত সদ্য আবার এনআরসির নোটিস পাওয়া দিনহাটার উত্তম ব্রজবাসীকে নিয়ে। এক্ষেত্রে হিমন্তের জোরাল দাবি, উত্তম অসমেরই বাসিন্দা। সে কারণেই তাঁর কাছে ওই কাগজ গিয়েছিল। এদিকে এনআরসির নোটিস নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই উত্তমের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় তৃণমূলকে। কিছুদিনের মধ্যে বিজেপি থেকে তাঁকে জাতিগত শংসাপত্রও দেওয়া হয়। এখন হিমন্তের কথায় নতুন করে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। কুণাল যদিও বলছেন, হিমন্ত যদি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বলে থাকেন সেই ব্যর্থতা স্বরাষ্ট্র দফতরের। হিমন্তের ক্ষমা চাওয়ারও দাবিও তোলন তিনি।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 3 =