ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা প্রত্যাহার ও তাঁকে নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে পথে নামল হিন্দু সমাজ। এদিন শিয়ালদহে বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তরফে এক প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করা হয়। শিয়ালদহ থেকে বেকবাগানে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের অফিস পর্যন্ত মিছিলে অংশ নেন বহু সাধারণ মানুষ। এই মিছিলে নজরে আসে নানা স্লোগান সমন্বিত পোস্টারও। তাতে কোথাও লেখা, ‘এক চিন্ময় কারাগারে, লক্ষ চিন্ময় ঘরে ঘরে’ আবার কোনও পোস্টারে লেখা – ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই, চিন্ময় প্রভুর মুক্তি চাই’। এই ইস্যুতে আবার কেউ কেউ বাংলাদেশি বস্ত্র বর্জনের ডাক দেওয়া হয় তবে হাই কমিশনের অফিসের সামনে পুলিশের বাধায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ধুন্ধুমার বাঁধে পুলিশের।
অন্যদিকে এদিন প্রতিবাদে নামে কলকাতার ইসকন কর্তৃপক্ষও। বৃহস্পতিবার বিকেলে আলবার্ট রোডে কীর্তনের মধ্যে দিয়ে প্রতিবাদ জানান ভক্তরা। এদিনও ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস এদিন বাংলাদেশের পুলিশ ও সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগ। ইসকন ভক্তরা আতঙ্কিত। তাঁদের বেছে বেছে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সেনা। চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতিবাদ জোরাল হতেই ইসকনকে নিষিদ্ধের আবেদন জানায় ইউনুস সরকার। তবে বৃহস্পতিবার আদালতে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এখনই ইসকনের কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করবে না বলে সাফ জানায় বাংলাদেশ হাইকোর্ট। তাতে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ ফিরলেও চরম আতঙ্কিত সেখানকার ভক্তরা। কলকাতা ইসকন কর্তৃপক্ষের তরফে এনিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস। এই প্রসঙ্গে ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, ‘বাংলাদেশে ইসকন ভক্তরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের বেছে বেছে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনা ও পুলিশ। পরিস্থিতি খুব খারাপ।’ চিন্ময় প্রভুর পর সেখানে গ্রেপ্তার করা হয় আরও এক সন্ন্যাসী স্বরূপ দাশকে। তাতে বাস্তবিকই অগ্নিতে ঘৃতাহুতি হয়।