যোগী আদিত্যনাথের থেকে কিছু বুলডোজার ভাড়া করুন, পুরসভাকে কড়া বার্তা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের

‘দরকার পড়লে যোগী আদিত্যনাথের থেকে কিছু বুলডোজার ভাড়া করুন।’ মানিকতলা থানা এলাকার বেআইনি নির্মাণের ঘটনায় এমনটাই শোনা গেল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। আর এই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতেই যে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ‘বুলডোজার-নীতি’-র কথা বলেছেন বিচারপতি তা খুবই স্পষ্ট।

প্রসঙ্গত, মানিকতলা থানা এলাকার বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক মহিলা। শুনানির সময়ে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, বেআইনি নির্মাণে বাধা দেওয়ার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁর মক্কেল। বাড়ি থেকে বের পর্যন্ত হতে পারছেন না। বিষয়টি শুনে অত্যন্ত বিরক্ত হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এরই পাশাপাশি বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এরকম একটি দুটি মামলা নয়, এরকম আকছার হচ্ছে। তখনই শুনানিতে উপস্থিত পুরসভার আইনজীবীকে বিচারপতি বলেন, প্রয়োজন পড়লে বুলডোজার বেআইনি নির্মাণের ওপর চালিয়ে দিন। একইসঙ্গে বুলডোজার ভাড়া করে নিয়ে আসুন। বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, পুলিশ ও পুরসভার সদিচ্ছা থাকলেও তাঁরা অনেক সময়ে কাজ করতে পারেন না। কারণ তাঁদের অন্য চাপের মুখে কাজ করতে হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশ আর পুরসভা নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি জানি তাদের কী বাহ্যিক চাপের মুখে কাজ করতে হয়।’ এরপরই বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য, ‘কোনও গুণ্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। গুণ্ডাদের কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় আমি জানি। গুণ্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা জানেন কীভাবে গুণ্ডাদের শায়েস্তা করতে হয়।’

প্রসঙ্গত, বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে সম্প্রতি কানপুর, সহারনপুর এবং প্রয়াগরাজের একাধিক বাড়িতে বুলডোজার চালানো হয়। তবে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বুলডোজার নীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখেও পড়ে যোগীর ‘বুলডোজার নীতি’। এবার প্রসঙ্গই উত্থাপিত হল কলকাতা হাইকোর্টে। আবার বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কলকাতা পুরসভাকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − two =