ইতিহাস তৈরির সম্ভাবনা, কমলা হ্যারিস লড়ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে

সামনেই মার্কিন নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। আর এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে লড়াই’য়ে মনোনয়ন জমা দিলেন কমলা হ্যারিস। ডেমোক্রেটদের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয় কমলার নাম। যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটা ইতিহাস। শুধু তাই নয়, জয় পেলে এই প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোভদূত মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে বসবেন। তবে সে দেশের একটা অংশের দাবি, এবার নির্বাচন হাড্ডাহাড্ডি হতে পারে। সামনেই মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচন।

উল্টোদিকে ফের একবার লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমীক্ষা বলছে এবার তাঁর দিকেই নাকি পাল্লা ভারী। একাধিক ইস্যুতে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপর আমেরিকার মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় যদিও কমলা হ্যারিসই তরুপের তাস ডেমোক্রেটদের কাছে। ইতিমধ্যে নির্বাচন থেকে বাইডেন সরে দাঁড়িয়েছেন। আর প্রার্থী হিসাবে কমলা হ্যারিসের নাম প্রথম তিনিই সামনে আনেন। বলেন, আমেরিকার আগামী প্রেসিডেন্ট হিসাবে কমলা হ্যারিসই যোগ্য। প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ধাপ আছে। আর তা পেরিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশন ডিএনসি-তে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। মনোনয়ন স্বীকার করে কমলা বলেন, প্রেসিডেন্ট হলে সবার আগে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করব। এই নির্বাচন আমেরিকাকে এক উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার নির্বাচন। শুধু তাই নয়, কোনও একটি দলের সদস্য হিসেবে নয়, আমেরিকার মানুষ হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ বলেও এদিন মন্তব্য করেন কমলা হ্যারিস। দেশের মানুষ যাতে তাঁর উপর ভরসা এবং বিশ্বাস রাখেন সেই বার্তাও এদিন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই ডেপুটি।

নির্বাচনের আগে তাঁর বার্তা, ‘আমি প্রতিজ্ঞা করছি সমস্ত আমেরিকার মানুষের প্রেসিডেন্ট হয়ে দেখাব।’ এমনকি দল এবং আমার আগে যে দেশ সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই কাজ করার বার্তা দিয়েছেন কমলা হ্যারিস।যদিও কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আগেই জানিয়েছেন, কমলা প্রার্থী হলে তাঁকে হারানো অনেক বেশি সহজ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − two =