এইচআইভি ধরা পড়তেই অমিল চিকিত্সা এমনই অভিযোগ উঠল এসএসকেএম-এর বিরুদ্ধে। এরপরই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে নড়েচড়ে বসল এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে জানানো হয়, ‘হাসপাতালেই ওই যুবকের চিকিত্সা করানো হবে’, জানালেন সুপার। তবে তাঁর দাবি, ‘ওই যুবককে যে এইচআইভি আক্রান্ত, সেকথা গোপন করেছিলেন পরিবারে লোকেরা। যদি জানাতেন, তাহলে প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিয়ে চিকিত্সা করা হত।’
জানা গিয়েছে, কলকাতারই নিউ আলিপুরের বাসিন্দা ওই যুবক। পেশায় তিনি গাড়ির চালক। তারাতলায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন গত সপ্তাহে। রাস্তায় বাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন ওই যুবক। হাত-পা ভেঙে যায়। তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ারে। শারীরিক অবস্থায় এতটাই গুরুতর যে, অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্সকরার। আর তারপরেই ঘটে বিপত্তি।
পরিবারের লোকেদের দাবি, অস্ত্রোপচারের আগে রক্ত পরীক্ষায় এইচআইভি পজিটিভি ধরা পড়ে ওই যুবকের। এরপর চিকিত্সা বা অস্ত্রোপচার তো দূর, রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য় চাপ দিতে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে ওই যুবকের বাবা জানাচ্ছেন, ‘২১ তারিখ রোগীকে ভর্তি করা হয়। ২২ তারিখে বলছে রক্ত লাগবে। একটা বোতল এনে দিয়েছি। ২৪ তারিখে বলা হচ্ছে, আমাদের রোগীর এই সমস্যা। আমার ছেলের আগে থেকে কোনও সমস্যা ছিল না। হতে পারে, এই রক্ত থেকে.. এখন ডাক্তার বলছে, আমি রাখতে পারব না, কোনও চিকিত্সা করতে পারব না। বের করে দেব।’
তবে এই ঘটনায় এসএসকেএম-এর সুপার জানান, ‘হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার পরই জানা যায়, ওই যুবক এইটআইভি আক্রান্ত। তবে এইচআইভি যদি থেকে থাকে, তাহলেও এভাবে হাসপাতাল থেকে এভাবে বের করে দেওয়ার কথা নয়।’