স্বামীর স্কুটির পিছনে বসে আড়াই বছরের মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন দেবশ্রী মণ্ডল। বেপরোয়া বাস কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ। বাসের তলায় পড়ে থেঁতলে যায় মুখের বাঁ পাশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দেবশ্রীর। এদিকে স্বামীও ততক্ষণে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় কাতরাচ্ছেন। কিন্তু প্রাণে বেঁচে গিয়েছে আড়াই বছরের ছোট্ট মেয়ে। শরীরে একটা আঁচড় পর্যন্ত লাগেনি তার। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ডে ঘটে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা।
প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ড থেকে এস ৩১ রুটের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে বেরিয়ে আসে। স্কুটিতে এক মহিলা আড়াই বছরের বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন স্কুটিতে চড়ে। ওই স্কুটি চালাচ্ছিলেন তাঁরই স্বামী। এই সময় ওই এস-৩১ রুটের বাসটি বেপরোয়া গতিতে এসে স্কুটির সামনে চলে আসে। মহিলার স্বামী স্কুটি পাশ কাটানোর আগেই বাস ধাক্কা মারে। স্কুটি থেকে ছিটকে পড়ে যান মহিলা। বাসের চাকায় পিষে যায় শরীর। তাঁর স্বামীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। শিশুটি সুস্থ রয়েছে।
দুর্ঘটনার পরই বাসটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কিছুদিন আগেই সল্টলেকের মুখে বেপরোয়া সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় স্কুলছাত্রের। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও কড়া প্রতিক্রিয়া দেন। এরপরও কীভাবে গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।