বর্ষায় কলা থেকে কাশির সমস্যা কতটা!  

বর্ষায় কলা খেলে নাকি সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এমনটাই বলেন অনেকেই। তাই এই ঋতুতে এই ফল এড়িয়ে চলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

তবে এই কথার বাস্তব কোনও ভিত্তি নেই বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। বরং তাঁদের বক্তব্য,কলা খাওয়ার সঙ্গে ঠান্ডা লাগার কোনও সম্পর্ক নেই। তাই ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে কলার থেকে দূরত্ব তৈরি করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। আর এমন বোকামি করলে কোনও উপকার তো মিলবেই না উল্টে আপনার শরীরে একাধিক ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি তৈরি হবে, যা একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার পথ প্রশস্ত করবে। তবে যাঁদের ইতিমধ্যেই ঠান্ডা লেগে রয়েছে, তাঁরা কলা খাবেন না। কারণ কলা খেলে মিউকাস সিক্রেশন বাড়তে পারে। ফলে সর্দি, কাশিতে কলা খেলে বুকে কফ জমার আশঙ্কা থাকে।

পাশাপাশি তাঁরা এও জানান, স্বল্প দামের এই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্ব, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো একাধিক উপকারী উপাদান। তাই তো একাধিক রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলতে চাইলে কলার শরণাপন্ন হতেই হবে।

আর সবথেকে বড় কথা, একটি কলা থেকে মেলে প্রায় ৮৯ ক্যালোরি। ফলে দেহে এনার্জির ঘাটতি মেটাতে চাইলে নিয়মিত কলা খাওয়া জরুরি। এতেই আপনার শরীরের এনার্জি ঘাটতি অনেকটাই মেটাবে।

সঙ্গে কলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। এই খনিজ কিন্তু হাই প্রেশারকে বাগে আনতে পারে। ফলে হার্ট থাকবে সুস্থ সবল। এমনকী এড়ানো যায় হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিওরের মতো অসুখও।

শুধু তাই নয়, ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে স্ট্রোকের মতো ভয়াবহ রোগের ফাঁদও এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে। তাই তো সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত বলেই মনে করেন পুষ্টিবিদরা। এদিকে আমাদের মধ্যে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। তবে কী এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এই কলাই। কারণ কলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। আর এই উপাদান মলকে নরম করার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই তো কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুক্তোভোগীরা রোজ একটা করে কলা খেতে ভুলবেন না।

তবে একটা সমস্যা হল, কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কিছুটা বেশি। তাই তো কলা খাওয়ার পর রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে। এই কারণেই ডায়াবিটিস রোগীদের কলা খাওয়ায় বারণ থাকে। এছাড়া কিডনির রোগীরাও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা খাবেন না। তাতে সমস্যা বাড়তেই পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + 20 =