আদিবাসী মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ হাওড়া ব্রিজ

কেয়া দাস

 

আদিবাসী মিছিলের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল গোটা হাওড়া ব্রিজ।শুক্রবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ।অন্য দিকে ভ্যাপসা গরমে মানুষের প্রাণ ও ওষ্ঠাগত।জানা গিয়েছিল আন্দোলনকারীরা ধর্মতলার উদ্দ্যেশেই গিয়েছিলেন।কিন্তু এই মিছিলের পথ ছিল অতি দীর্ঘ যার জেরে সাধারণ মানুষের সমস্যা বেড়ে গিয়েছিল।আদিবাসীদের এই মিছিল হাওড়া ব্রিজ হয়ে ব্র্যাবোর্ন রোড দিয়ে এগিয়ে যায়।

ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে রাণি রাসমণি অ্যাভিনিউতে প্রতিবাদ মিছিল ও সভার ডাক দিয়েছিল। আদিবাসীদের উপর দমন-পীড়নের অভিযোগ,উচ্ছেদ বন্ধের দাবি ও কুর্মি ও মাহাতোদের  এসসি মর্যাদা দিতে হবে এই দাবি নিয়ে তারা জমায়েত করেন। এছাড়াও নকল এসটি সার্টিফিকেট ইস্যু বন্ধ করতে হবে। ২০০৬ সালের বন্য আইন সারা রাজ্যে চালু করতে হবে এই দাবিও তোলেন তাঁরা।

এর ফলে সকাল থেকেই যানজটের কারণে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।হাওড়া সেতু থেকে ব্রেবোর্ন রোড পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বাস এবং অন্যান্য গাড়িগুলিকে। লাইন দিয়ে একের পর এক দাঁড়িয়ে ছিল যানবাহন।এই মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে হাওড়া স্টেশনে এসে জমায়েত হন আদিবাসীরা। সেখান থেকে তাঁরা বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন।প্রচুর  মানুষ হাওড়া ব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে পারাপার করছিলেন।।এর ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় নিত্যযাত্রীদের। অনেকেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন, কেউ কেউ গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন,অফিস যাত্রী থেকে স্কুল পড়ুয়ারাও ক্লান্ত হয়ে পড়েন।সাধারণ মানুষ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে।তাঁদের অভিযোগ,মিছিলের কথা আগে থেকে প্রশাসন জানলেও তার জন্য যথাযথ ভাবে ব্যাবস্থা কেনও নেওয়া হয়নি। তাই তাঁদের এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। বেলা সাড়ে ১২ টার পর যান চলাচল একটু একটু করে স্বাভাবিক হতে থাকলেও তার গতি ছিল অত্যন্ত ধীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 11 =