দোকান বসানো নিয়ে ব্য়বসায়ীদের মধ্যে তুমুল অশান্তি মহেশতলায়

দোকান বসানো নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তুমুল অশান্তি। মহেশতলা সংলগ্ন রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায়।  বুধবার রবীন্দ্রনগর থানা সংলগ্ন একটি দোকান তুলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাধে ব্যবসায়ীদের দুই পক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ। এই ঘটনায় রবীন্দ্রনগর থানার সামনে বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এলাকায় চলে পাথর বৃষ্টি।  এই পাথর বৃষ্টি থেকে ছাড় পায়নি  পুলিশও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে হাজির হয়। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে হাজির হন, পুলিশের একাধিক আধিকারিক।
পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে ছিলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার, ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ আকাশ মাঘেরিয়া-সহ ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এছাড়াও কলকাতা পুলিশের বিশাল পুলিশ বাহিনী।
উত্তেজনার মধ্যেই একাধিক গাড়ি এবং দোকানে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। এদিকে এর মধ্যে আক্রান্ত হয় পুলিশও। ইটের আঘাতে আহত এক মহিলা পুলিশকর্মী।
সূত্রে খবর, বুধবার বেলা ১ টা থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রবীন্দ্রনগর এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় বেপরোয়া ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় যায় বাহিনী, ব়্যাফ। পুলিশের তরফ থেকে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোরও চেষ্টা চলে। জানতে চাওয়া হয় সমস্যা কোথায় বা কী নিয়ে তাঁদের অভিযোগ। তা জানার জন্য  কলকাতা পুলিশের এক কর্মীকে হাতে সাদা রুমাল নিয়ে এগিয়ে যেতেও দেখা যায় কথা বলতে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের মধ্য়েই একজন এগিয়ে আসেন  কথা বলতে। তাঁরাও হাত নাড়িয়ে তাঁদের সঙ্গীদের শান্ত থাকতে বলেন। তখনই অতর্কিতে পুলিশের ডান দিক থেকে বেরিয়ে আসে কয়েকজন। তাঁরা ইট ছুড়তে থাকেন। তাতে আহত হন এক মহিলা পুলিশ কর্মী। তাতে নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। এরপর বাধ্য হয়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, সন্ধের দিকেপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে এই ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, এখানে একজন ফল বিক্রেতা আম বিক্রি করতেন, সেখানে তুলসী মঞ্চ তৈরি নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। ফল বিক্রেতা কয়েকদিনের জন্য কোথাও গিয়েছিলেন। এর মধ্যে ওই জায়গায় তুলসী মঞ্চ তৈরি করা হয়। বুধবার ফল বিক্রেতা ফিরে এসে তুলসী মঞ্চ দেখে রেগে যান। ক্রমেই এই বিবাদ আরও তীব্র হয়ে ওঠে এবং দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে পরিণত হয়। প্রথমে পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী ছিল না। কয়েকশো জনতাকে সামলাতে পারেনি মাত্র কয়েকজন পুলিশকর্মী। পুলিশের দিকে পাথর ও ইট ছোঁড়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + eight =