মুর্শিদাবাদ: জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে ভোটের টিকিট বিক্রি করেছেন শাওনি। সঙ্গে এও জানান, ‘জেলা সভাপতির আসনে বসে তৃণমূলকে ব্যবহার করে শাওনি সিংহ রায় ব্যবসা শুরু করেছেন। ভরতপুর বিধানসভার অন্তর্গত দুজন ব্লক সভাপতির সঙ্গে কোটি কোটি টাকার ডিল করে এক একজন পঞ্চায়েতের প্রার্থীর কাছ থেকে কম করে ২ লক্ষ টাকা তুলেছেন।‘ এরপরই তিনি তৃণমূল হাইকমান্ডের কাছে দাবি করেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জেলার সাংগঠনিক সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হলে বা অপসারিত না করা হলে ভেবে দেখবেন। যদিও কী ভেবে দেখবেন তা স্পষ্ট করে বলেননি।
এদিকে তাঁর সঙ্গে শাওনির সম্পর্কটা যে ভাল নয়, তা পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণার পর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে শাওনি সিংহ রায় জানান, ‘২৫ বছর হয়ে গিয়েছে আমি মুর্শিদাবাদের বুকে রাজনীতি করছি। এখানকার মানুষ জানে আমি কীরকম। আমার রাজনৈতিক জীবনে এ ধরনের কোনও কলঙ্ক নেই। তাই কে কী বলছে তাতে কিছু এসে যায় না। তবে খারাপ অবশ্যই লাগছে। ও যে ধরনের আচরণ করছে তাতে আমরা মর্মাহত। আমি ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য দলকে জানিয়েছি। আর তা ছাড়া দল আমাদের যেভাবে বলেছে সেভাবেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছি।‘