ফের বিস্ফোরক হুমায়ুন। ভারতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন প্রায় হুঙ্কারের সুরে জানালেন, ’১৫ অগাস্টের পর থেকে খেলা শুরু করব।’ সঙ্গে এও জানান, ‘ব্লক সভাপতিরা লোকের সঙ্গে তোলাবাজি করেন, একটা ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দিতে গেলে ৫০ হাজার টাকা চান, তোলাবাজি করেন।’ ফলে এই হুঙ্কার যে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তা বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না কারও। এই প্রসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘কান্দি থেকে খেলতে শুরু করব। ফুটবল ভাল খেলি। যাকে পারব গোল দিয়ে মাঠ থেকে উঠে যাব। দল ব্যবস্থা নিলে ঢাকগোল পিটিয়ে জবাব দেব।’ অর্থাত্, এবার হুমায়ুনের নিশানায় দলেরই ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধানরা।
এখানেই শেষ নয়। হুমায়ুন এদিন এও বলেন, ’১৫ অগস্ট পর্যন্ত যেরকম চলছে চলবে, আমার বিধানসভায় যে যত পারেন কাঠি করবেন, আমি খেলতে শুরু করব। আমি আমার ফিল্ডে খেলতে পারি। চাঙ্গা প্লেয়ার।’
এর আগে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন হুমায়ুন কবীর। যতবার মুখ খুলেছেন, ততবারই দল তাঁকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন। শোকজের মুখে পড়তে হয়েছে একাধিকবার। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে তাঁকে। এরপর আবার সাংবাদিকদের সামনেই ‘চুপ’ থাকার ব্রত নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু একুশে জুলাইয়ের আগে আবারও এমন মন্তব্য করলেন হুমায়ুন যা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে শাসক দলের অন্দরেই।
এই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘খেলব, খেলব করতে করতে আজ বাংলার পরিস্থিতি কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে! স্পষ্ট নয়, কীভাবে খেলবেন। কার সঙ্গে খেলবেন, আর কার বিরুদ্ধে খেলবেন, সেটাই পরিস্কার নয়।’ তবেএইপ্রসঙ্গে
তৃণমূলের মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘হুমায়ুন কী বলছেন, তার দায় তাঁকেই নিতে হবে। একাধিকবার তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। তাঁর মনের কথা থাকতেই পারে, কিন্তু সেটা সংগঠনের মধ্যে বললেই ভাল হত।’