গুরুতর শারীরিক সমস্যায় সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, এমনটাই সূত্রে খবর। একইসঙ্গে সুদীপ্ত সেনের তরফ থেকে অভিযোগ উঠেছে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ারও। এরই রেশ ধরে সুদীপ্ত সেনের তরফ থেকে আদালতে দাবিও করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে ইনডোর চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে বলেও। এরপরই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারকে নির্দেশ সিবিআই স্পেশাল আদালতের, সুদীপ্ত সেনের শরীরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আর সেই কারণে ইউরোলজি এবং অঙ্কোলজিস্টকে দিয়ে তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন।
২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল সারদা কেলেঙ্কারি ঘটনায় তোলপাড় হয় বঙ্গ রাজনীতিয এই দিনই কাশ্মীর থেকে কলকাতা পুলিশের গ্রেপ্তার হন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়। এরপর ২০১৪-য় সারদা টুর অ্যান্ড ট্রাভেলস মামলায় অভিযুক্ত হন দেবযানী।
এই গ্রেপ্তারির পর সামনে আসে সারদা কেলেঙ্কারি ঘটনা। যা ছিল বঙ্গের মাটিতে এক বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারি। ২০১৪-এর আগে বেশ কিছু বছর ধরে সারদা গ্রুপ নামের একটি সংস্থা আম জনতার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে। সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল বিরাট মুনাফার আশ্বাস। আর এই আশ্বাসের পিছনে ছিল প্রতারণা। এই প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসতেই প্রথম কলকাতা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে এই তদন্ত যায় সিবিআইয়ের হাতে। সারদা মামলা বর্তমানে সিবিআই এবং ইডির হরাতেই রয়েছে। এই মামলায় বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে বেশ কিছু সম্পত্তি। কলকাতা হাইকোর্টেও এই মামলার শুনানি চলাকালীন য় নিজেকে দোষী বলে স্বীকার করে নিয়েছেন সুদীপ্ত সেন। তিনি কর্মীদের বেতন এবং প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা জমা দিতে পারেননি তাও স্বীকার করেন আদালতে।