ফের বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ খাস কলকাতায়। ঘটনাস্থল মেটিয়াবুরুজ। জমি দখল করে পাঁচতলা আবাসন নির্মাণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয় কলকাতায়। মঙ্গলবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে। মামলার রায়ে পুরসভাকে নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র। একমাসের সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি। পাশাপাশি আদালতের প্রশ্ন, চোখের সামনে অবৈধ নির্মাণ হয়ে গেল, পুরসভা জেনে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা নিয়েও। আদালতে মামলাকারী আতাউল্লা জানান, জমির মিউটেশন তাঁর নামেই। অথচ স্থানীয় কিছু প্রোমোটার জমি দখল করে বেআইনি পাঁচতলা আবাসন তৈরি করে বিক্রি করেছে। মামলাকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, “মালিক মহম্মদ আতাউল্লার নামেই জমির মিউটেশন আছে। এবং তিনি নিয়মিত কর দেন। অথচ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাঁরই জমি দখল করে নেয়। জমির মালিক একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুরসভার কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। এটা একটা চূড়ান্ত অপব্যবস্থার লক্ষণ। কলকাতা পুরসভা সঠিক সময় ব্যবস্থা নিলে মামলাকারীকে হাইকোর্টে ছুটে আসতে হত না। কলকাতা পুরসভার ৩৯৩ ও ৪০০ আইনে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারত তারা, সেটাও নেয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র কলকাতা পুরসভার থেকে রিপোর্ট তলব করেন। পুরসভার পক্ষের আইনজীবী জানান, ‘মেটিয়াবুরুজে ওই পাঁচতলা নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাণকারীরা কোনও অনুমতি নেয়নি।’ সঙ্গে আইনজীবী এও জানান, পুরসভা তদন্ত শুরু করেছে।