কেষ্টপুরে এক বেআইনি নির্মাণ ভাঙল বিধাননগর পুরনিগম। মঙ্গলবার দুপুরে বাগুইআটি থানার কেষ্টপুর রবীন্দ্রপল্লিতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙে বিধাননগর পুরনিগম। বিধাননগর পুরনিগম সূত্রে খবর, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে রবীন্দ্রপল্লিতে গজিয়ে উঠেছিল এই বেআইনি নির্মাণ। অল্প পরিসরের রাস্তার ওপরে গড়ে ওঠে এই পাঁচতলা ভবন। বহুবার নির্মাণ কর্তা অভিজিৎ পোদ্দার এবং জমির মালিককে নোটিসও দেওয়া হয় পুরনিগমের তরফ থেকে। আবাসনের বাসিন্দাদের দ্রুত ভবন খালি করার জন্য নির্দেশ দেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তবে এরপরও কোনরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জমির মালিকের তরফ থেকে।এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে আসেন প্রশাসনিক আধিকারিক ও বাগুইআটি থানার পুলিশ। এদিন নির্মাণের বাইরের কিছুটা অংশ ভাঙেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
এদিকে ওই বহুতলের বসবাসকারী এক ব্যক্তি জানান, নির্মাণকারী তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এখন তাঁরা কোথায় যাবেন, কিছুই বুঝতে পারছেন না।ওই বাসিন্দা সঙ্গে এও জানান, বহুবার তারা নির্মাণকারীকে কাগজপত্র চাইলে, তিনি কিছুই দেননি। তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ঘর কিনেছেন। এখন তারা কী করবেন।
এদিকে যে বাড়ি ভেঙে আবাসন নির্মাণ হয়েছিল, সেই বাড়ির মালিক বৃদ্ধা কল্যাণী বসাক জানান, পাড়ার লোক হয়ে কীভাবে বেআইনিভাবে এই কাজ করল তা বুঝতে পারছেন না তিনি। সঙ্গে এও জানান, পজেশন লেটারও দেননি ওই প্রোমোটার।একইসঙ্গে ওই বৃদ্ধা এও জানান, ‘আমাদের তিন তলা বাড়ি ছিল। সেই বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট করল। এখন আমরা যাব কোথায়? আমাদের তো মরণ ছাড়া গতি নেই।’ এদিকে প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পুরনিগমের কোনও অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ গড়ে উঠেছিল। বারংবার বলা সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁরা নির্মাণ ভাঙতে এসেছেন। আর এখানে এ প্রশ্নও উঠছে কিভাবে বৈধ কাগজ থাকা না সত্বেও ব্যাঙ্ক লোন পেলেন ক্রেতারা।