এবার হারিয়ানার জ্যোতি রানির মতোই বাংলাতেও খোঁজ মিলল পাকিস্তানের আইএসআই-এর স্পাই-এর। আর এই কাজ কর হিসাবে কাজ করতো বাদুড়িয়ার কলেজ ছাত্রী তানিয়া পারভিন। সূত্র মারফত হয়ে জানা গিয়েছে, জ্যোতি রানির মতোই পাক সেনা ও লস্করের হয়ে কাজ করত তানিয়া। এনআইএ সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, বাদুড়িয়ার কলেজ ছাত্রী তানিয়া পারভিনের ফোনেই পাক যোগের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। জ্যোতির মতো এক্ষেত্রেও হানি ট্র্যাপ তথ্য জোরদার হচ্ছে। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই এনআইএ-র জালে বাদুড়িয়ার তানিয়া।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা। ভারতের নানা গোপন তথ্য ইসলামাবাদের কাছে পাচার করছিল ইউটিউবার, এমনটাই অভিযোগ। আইএসআই এজেন্টের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল।
এনআইএ সূত্রে খবর, তানিয়ার ফোন ঘেঁটে এনআইএ আধিকারিকদের হাতে উঠে এসেছে দুটো নাম। আয়েসা সিদ্দিকি ও বিলাল দুরানি। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে বসে আয়েসা সিদ্দিকি ও বিলাল দুরানি তানিয়াকে নির্দেশ দিত, তাকে কী করতে হবে সে ব্য়াপারে। তানিয়ার চ্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে পাক বায়ু সেনা আধিকারিক আয়েসার উর্দি পরা ছবিও। এই প্রসঙ্গে বলে রাখ শ্রেয়,এনআইএ-এর চার্জশিটে আয়েসাকে লস্কর কমান্ডার হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘পাক কাশ্মীর কি শেহজাদিয়া’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন আয়েসা। আর ওই গ্রুপের মাধ্যমেই পাচার হত তথ্য। জ্যোতির মতোই পাক নেটওয়ার্কের অংশ এই তানিয়া পারভিন।
এনআইএ সূত্রে খবর, তানিয়া পারভিন কলেজ পড়ুয়া। তানিয়ার মতো কলেজ পড়ুয়া কিংবা কলেজ সদ্য যারা পাশ করে বেরিয়েছে, তাদেরকে টার্গেট করে পাকিস্তান। কারণ তাদের মগজ ধোলাই অনেক বেশি সহজ হবে। কোনটা তাদের দুর্বলতা, অর্থ নাকি কাজের সুযোগ, এগুলোর প্রতিশ্রুতি দিয়েই পিছিয়ে পড়া এলাকার ছাত্রছাত্রীদের মগজ ধোলাই করতে চাইছে পাকিস্তানের আইএসআই এজেন্টরা।
জ্যোতি রানি হোক কিংবা তানিয়া পারভিন, এরা প্রত্যেকেই কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে ইউটিউব কিংবা সামাজিক মাধ্যমে অ্যাক্টিভ। সামাজিক মাধ্যমেই পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এই ধরনের মেয়েদের হানি ট্র্যাপ হিসাবে ব্যবহার করাচ্ছে। অন্তত তেমনটাই তথ্য উঠে এসেছে আধিকারিকদের হাতে।