এবার উৎসবে নয়, পুজো হবে প্রতিবাদে। এমন চিন্তাধারা নিয়েই অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি ষষ্ঠীর দিন বিশেষ পরিক্রমার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। আর সেই কর্মসূচি ঘিরে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা। চৌকি, জলের গাড়ির মতোই পরিক্রমার ম্যাটাডোরও আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের চাপে সেই ম্যাটাডোরও ছেড়ে দিতে হয় পুলিশকে।
এদিকে বুধবার নজরে আসে চাঁদনি চকের মতো অত্যন্ত জনবহুল জায়গায় ঢাক বাজিয়ে, উলুধ্বনিতে তোলা হয় প্রতিবাদের সুর। এর পাশাপাশি এদিন বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে গিয়ে লিফলেট বিলি করার পরিকল্পনা ছিল আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু পুজোতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। সেই মতো তিনটি ম্যাটাডোরে চেপে রওনা হন আন্দোলনকারীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায়, চাঁদনি চকের কাছে আটকে দেওয়া হয় ম্যাটাডোর। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় আন্দোলনকারীদের বচসা। এ কথা শুনেই সেখানে পৌঁছে যান বহু মানুষ। ম্যাটাডোরে ছাড়ানোর জন্য কাতারে কাতারে মানুষ গিয়ে জড় হন। প্রতিবাদের মুখে ম্যাটাডোরে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এদিকে এই ম্যাটাডোর ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে যাওযার সময়ও স্লোগান ওঠে, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এদিকে জুনিয়র চিকিৎসকেরা যুক্তি দেন, অনুমতি থাকা সত্ত্বেও আটকানো হল গাড়ি। অন্যদিকে, পুলিশের তরফে বলা হয়, ম্যাটাডোর নিয়ে যাওয়া যাবে না, মাইকও খুলতে হবে। মাইক খুলে এরপর ম্যাটাডোর যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তারপরও ঢাকের বোল, করতালি আর উলুধ্বনিতে ফোটে প্রতিবাদের স্বর।