রবিবার সকাল থেকেই আকাশের ছিল মুখভার। ঝিরিঝিরি থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে পশ্চিম থেকে দক্ষিণের সব জেলায়। এর মধ্যেই আরও সুখবর দিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস। সোমবারও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরের উপর থেকে জলীয় বাষ্প এবং ওড়িশার উপরে থাকা নিম্নচাপ অক্ষরেখার জন্যই বৃষ্টি হচ্ছে জেলায়-জেলায়। পশ্চিমের জেলা ও উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি বেশি হবে। তবে ৯ ও ১০ তারিখ বৃষ্টি কমে যাবে। আবার ১১ তারিখ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টির ফলে দিনের তাপমাত্রা সব জায়গায় প্রায় ৫থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাবে। কলকাতার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে ছিল। বৃষ্টির জেরে এই তাপমাত্রা নেমে যাবে ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
অপরদিকে, উত্তরবঙ্গে আগামী চার থেকে পাঁচ দিন বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতায় সোমবার মেঘলা আকাশ এবং দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এক কথায় বলা যেতে পারে তারপর প্রবাহে পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পাওয়া মিলবে এই বৃষ্টির জেরে।
গরম থেকে স্বস্তি দিলেও, ঝড়-বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে প্রাণ গেল ৪ জনের। সূত্রে খবর, হুগলির তারকেশ্বর, উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা, পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। হুগলির পুরশুড়ায় ঝড়ের জেরে ইলেকট্রিকের তার ছিঁড়ে মৃত্যু হয় একজনের। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে কাজেকর্মে মাঠেঘাটে অনেকেই ছিলেন। ঝড় বৃষ্টিতে অনেকেই নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারেননি। তাতেই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় তিনজনের। এদিকে এই বজ্রপাত নিয়ে আগেই বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। দুর্যোগের সময় কংক্রিটের ছাদের নীচে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।