পরিষেবার দিক থেকে কলকাতার সরকারি হাসপাতালের থেকে এগিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী আর সাগরদত্ত

স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে পরিষেবার দিক থেকে এক নম্বরে থাকছে পিজি অর্থাৎ এসএসকেএম হাসপাতাল। কিন্তু লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, রোগী পরিষেবার নানা সূচকে গত একমাসে অধিকাংশ দিনই দুই আর তিন নম্বর স্থান ধরে রাখছে সুদূর জেলার মেডিক্যাল কলেজ বাঁকুড়া সম্মিলনী এবং তুলনায় নতুন সীমিত পরিকাঠামোর কলেজ কামারহাটি সাগর দত্ত। সবচেয়ে পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও পারফর্ম্যান্স লিস্টের উপর দিকে নেই কলকাতার আর কোনও মেডিক্যাল কলেজ। প্রসঙ্গত, এখন রোগী পরিষেবা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজস্তরের সরকারি হাসপাতালকে রোজ আপলোড করতে হয় স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে। আর তা বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্যভবনের এই রিপোর্ট। প্রসঙ্গত, রোগী পরিষেবা বলতে যে সব সূচকের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে প্রধানতম হলো আউটডোরের রোগীর সংখ্যা, ইন্ডোর ওয়ার্ডে ভর্তি ও ডিসচার্জের সংখ্যা, ই-প্রেসক্রিপশন তৈরি, ল্যাবে রক্তপরীক্ষায় নমুনার সংখ্যা, ফার্মেসি স্টোর থেকে কতজন রোগী বিনামূল্যে ওষুধ পাচ্ছেন ইত্যাদি।

এদিকে স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তথ্য আপলোডের ক্ষেত্রে গোড়ার দিকে, অর্থাৎ মাসখানেক আগে কিছুটা ঢিলেমি দেখালেও এখন প্রায় সকলেই নিয়মিত এই রিপোর্ট আপলোড করে। এই রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, গত ১০ দিনের মধ্যে তিন দিন (২০, ২৩ ও ২৬ এপ্রিল) দেখা যাচ্ছে, পিজি-তে আউটডোরে যথাক্রমে ৪,৭০৬ জন, ৭,৮৪১ জন ও ৯,৪২১ জন রোগী এসেছেন। এর মধ্যে ভর্তি হয়েছেন যথাক্রমে ৩৪৭ জন, ৪২৭ জন ও ৪০৮ জন ভর্তি হয়েছেন। ই-প্রেসক্রিপশন করা হয়েছে যথাক্রমে ৭২১টি, ৬৬৫টি ও ১,০৩১টি।

বাঁকুড়া সম্মিলনীতে এই তিনটি তারিখে আউটডোরে যথাক্রমে ২,৫২৮ জন, ৪,৯৪৮ জন ও ৪,৪১৮ জন রোগী এসেছিলেন যার মধ্যে যথাক্রমে ২৮৬ জন, ৩৯৭ জন ও ৩৫০ জন ভর্তি হয়েছেন। ই-প্রেসক্রিপশন হয়েছে যথাক্রমে ৬১৬টি, ১,২৫৫টি ও ১,০০৩টি। আর কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ওই তিনটি তারিখে আউটডোরে যথাক্রমে ১,৩৯৯ জন, ২,১৮৩ জন ও ২,১৫১ জন রোগী এসেছিলেন যার মধ্যে ১১০ জন, ১২২ জন ও ১২৭ জন ভর্তি হয়েছেন। ই-প্রেসক্রিপশন তৈরি হয়েছে যথাক্রমে ৫১৩টি, ৬১৩টি ও ৭১৫টি।

এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যকর্তারা প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাগর দত্ত হাসপাতাল সম্পর্কে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নতুন ও সীমিত পরিকাঠামোর মেডিক্যাল কলেজ হওয়া সত্ত্বেও অনলাইন ব্যবস্থার কারণে তাদের পারফর্ম্যান্স ভালো। বেড ও রোগীর সংখ্যা কম, সুপার-স্পেশ্যালিটি কোনও বিভাগ নেই। তার পরেও ল্যাবের রিপোর্ট, ই-প্রেসক্রিপশন ইত্যাদির ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় পারফর্ম্যান্সের কারণে গত একমাসে প্রথম পাঁচের নিচে নামেনি ওই কলেজ। গত ১০ দিনে দেখা যাচ্ছে, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে বেশির ভাগ দিনেই চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান মেডিক্যাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল এবং এনআরএস হাসপাতাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − seven =