যাদবপুরকাণ্ডে প্রথম জামিন। পুলিশকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের ছেলে জয়দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এরপরই ১৯ অগাস্ট গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। অবশেষে ১২ দিনের মাথায় জামিন পেলেন জয়দীপ।এরই পাশাপাশি পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় আরও দুই অভিযুক্ত দীপশেখর দত্ত ও মনতোষ ঘোষও জামিন পেয়েছেন এদিন। তবে তাঁরা জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে খুনের অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনায় সরাসরি যুক্ত না থাকলেও পরবর্তী ঘটনাক্রম প্রায় নিজের হাতে নিয়ন্ত্রণ করছিল সদ্য ধৃত জয়দীপ ঘোষ। ২০২১ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশানাল রিলেশনস বিভাগের এই ছাত্রের পড়াশোনা শেষ হয়। কিন্তু তারপরও হস্টেলে যাতায়াত ছিল তার। পুলিশ তাকে জেরা করে জানতে পেরেছে, ৯ অগাস্ট, ঘটনার দিন জয়দীপ ছিল বিক্রমগড়ের বাড়িতে। কিন্তু খবর পেয়ে সে সোজা ছুটে যায় কেপিসি হাসপাতালে, যেখানে আহত ছাত্রকে ভরতি করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওইদিন হাসপাতালে পুলিশ ঢুকতে বাধা দিয়েছিল এই জয়দীপই। এমার্জেন্সি বিভাগের গেট আটকে দাঁড়িয়েছিল সে। পুলিশ বাধা পেয়েই সেদিন নিহত ছাত্রের বয়ান নিতে পারেনি। শুধু তাইই নয়, জয়দীপ হস্টেলের ছাত্রদের নির্দেশ দিয়েছিল, রক্ত-সহ সমস্ত প্রমাণ যেন মুছে ফেলা হয়। ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন মনতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তর জামিনের আরজির সঙ্গে জয়দীপের আইনজীবীও জামিনের আরজি জানান। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়।
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছিল আরও দুই ধৃত দীপশেখর ও মনতোষের বিরুদ্ধে। তাদেরও এদিন জামিন মঞ্জুর হয়েছে। তবে তারা আপাতত জেল থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।