আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে স্বাধীনতার মধ্যরাতে রাত দখলের ডাক দিয়েছিল মেয়েরা। গর্জে উঠেছিল কলকাতা। আন্দোলনের আঁচ পৌঁছেছিল জেলায় জেলায়। আর সেই রাতেই আরজি করে হামলার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ব্যাপক ভাঙচুর চলে হাসপাতালে। রক্তাক্ত হয় পুলিশও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চলছে চাপানউতোর। এরইমধ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলশের তরফে এল বিস্ফোরক পোস্ট। দেখা যাচ্ছে এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের রক্তাক্ত ছবি। নাম শম্পা প্রামাণিক। কাজ করেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত দখলের রাতে জনরোষের মুখে পড়েছিলেন শম্পা। পুলিশ বলছে, ‘শম্পা ১৪ অগস্টের রাতে নিজের কাজটাই করছিলেন বাগুইআটিতে। রাতে যাঁরা রাস্তায় হাঁটছিলেন, শম্পা তাঁদের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করার দায়িত্বে ছিলেন। কাজ করছিলেন রাস্তায়, নিজের কর্মক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে। হঠাৎই বিনা প্ররোচনায় জমায়েতের মধ্য থেকে পুলিশের দিকে উড়ে আসে বেশ কিছু ইট, যার একটি গিয়ে লাগে শম্পার মুখে।’
এই ছবি শেয়ার করেই পুলিশের প্রশ্ন, ‘রাতটা কি শম্পারও ছিল না?’ পোস্টে আরও লেখা হয়, ‘রাতটা সেদিন মেয়েদের ছিল। কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তা দখলের রাত। কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের মর্মান্তিক শিকার হয়েছেন এক তরুণী। যাঁর জন্য সহমর্মিতায় সে রাতে নারীপুরুষ নির্বিশেষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন রাস্তায়। রাস্তায়, যেখানে আমাদের সহকর্মী কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিকের কর্মক্ষেত্র। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মী শম্পার কাজ নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া।’ কিন্তু, কেন তাঁকে পড়তে হল হামলার মুখে? প্রশ্ন পুলিশের।
প্রসঙ্গত, রাত আন্দোলনের মধ্যে হামলার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীদের। বাম-রামে মিলে সবটা করছে বলে তোপও দেগেছেন। পাল্টা তোপ দেগেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিকে ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।