যাদবপুরের ছায়া বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েও। তবে ছাত্র হেনস্থার অভিযোগ পেতেই দ্রুত নিজে হস্টেলে পৌঁছালেন উপাচার্য। শুধু তাই নয়, তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তড়িঘড়ি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাও নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
অভিযোগ, বিশ্বভারতীর নীচুবাংলো ছাত্রাবাসে ওই তিন ছাত্র থাকেন। তাঁদের বিরুদ্ধেই হস্টেলে থাকা ছাত্রদের একাংশ হেনস্থার অভিযোগ তোলেন।বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, কয়েকজন অভিভাবক এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপরেই সোমবার হস্টেলে যান বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।এরপর রাতেই অভিযুক্তদের মধ্যে দুই ছাত্রকে হস্টেল থেকে গাড়িতে করে সোজা সেন্ট্রাল অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ছাত্রদের জিনিসপত্রও। এদিকে তৃতীয়জন এই মুহূর্তে বিশ্বভারতীতে নেই বলেই সূত্রের খবর।
তবে এমন ঘটনার পরই তৎপর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন হস্টেল ঘুরে দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোথাও কোনওরকম পড়ুয়াদের উপর মানসিক বা শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে। তবে সোমবার রাতের ঘটনায় চাপানউতর তৈরি হয় ক্যাম্পাসে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রকে চরম র্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছে বলেই তদন্তে উঠে আসছে। গত ৯ অগস্ট যাদবপুরের মেইন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মারা যায় নদিয়ার এক ছাত্র। সেই ঘটনা ঘিরে যখন রাজ্য তোলপাড়, তখন বিশ্বভারতীর অন্দরে নয়া অভিযোগ। যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে এখনও কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে এক স্টুডেন্ট ওয়ার্ডেনকে সোমবার রাতেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। তিনি বলেন, ‘ফ্রেঞ্চ ডিপার্টমেন্টের এক ছাত্র ইমেলে অভিযোগ করেছে। ইউজিসিকে ইমেল করে। তারই ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ। মানসিক হেনস্থার অভিযোগ করা হয়েছে। বাকি এখনও জানি না।’