তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপারের ট্রায়াল রানের সময় আয়কর হানা। বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে ট্রায়াল রানের সময় আয়কর তল্লাশি চালানো হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চপার আটকে রেখে তল্লাশি অভিযান। শুধু তাই নয়, তল্লাশি চালানোর সময় অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বাগ-বিতন্ডাও বাঁধতে দেখা যায় আয়কর দফতরের আধিকারিকদের। তবে চপারে কিছুই মেলেনি বলেই জানিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা কোনও হেভিওয়েট যখন চপার বা বিমানে করে কোথাও যান সেই সময় সেটির ট্রায়াল রান করতে হয়। সেই অনুসারে রবিবারও নিরাপত্তার কারণে চলছিল সেই ট্রায়াল রান। বেহালা ফ্লাইং ক্লাব থেকে চপারটি উড়ে যাওয়ার কথা ছিল হলদিয়ায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই সময় আচমকাই হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপারের কাছে পৌঁছে ব্যাগ, আসন সব তল্লাশি চালাতে শুরু করেন। ঘণ্টা খানেক ধরে চলে তল্লাশি। এমনকী পাইলটের সঙ্গেও কথা বলেন আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে শাসকদলের তরফ থেকে এ অভিযোগও করা হয়েছে, আয়কর দফতরের কর্তারা কোনও নোটিস ছাড়াই এই তল্লাশি চালিয়েছেন। যার কোনও প্রয়োজনীয়তা ছিল না বলেই মনে করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
এই নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও একটি টুইট করেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, সোমবার তিনি হলদিয়া যাচ্ছেন দলের কর্মীদের সঙ্গে মিটিং করার জন্য। সেই কারণেই হেলিকপ্টারটির ট্রায়াল রান চলছিল। হঠাৎ করে আইটির কয়েকজন কর্তা হাজির হন। চপারে তল্লাশি করা হয়। বাক্স-প্যাটরা খুলে তল্লাশি চালানো হয়। এমনকী অভিষেকের আধিকারিকদের সঙ্গে আইটি কর্তাদের বাকবিতন্ডাও হয়।