মেয়েদের এশিয়া কাপের নয় বারে প্রত্যেকবারেই ফাইনালে জায়গা করে নিল ভারত। এর আগের আটবারের মধ্যে সাতবারই চ্যাম্পিয়ন ভারত। অর্থাৎ, এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, এশিয়া কাপের সবচেয়ে সফল দল ভারতই। মাত্র একবার রানার্স। ২০১৮ সালে ভারতকে হারিয়েই একমাত্র ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল। এবার ১০ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের মহিলা দল। শুক্রবার সেমিফাইনালে মাত্র ৮১ রান তাড়া করে ফাইনালে চলে গেল ভারত। গোটা ম্যাচে একবারের জন্যও মনে হয়নি যে জেতার জায়গায় রয়েছে বাংলাদেশ। এদিন টসে জিতে ভারতকে ফিল্ডিং করতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা। প্রথম স্পেলেই বাংলাদেশের টপ অর্ডারে ধস নামান রেনুকা সিং ঠাকুর। প্রথম ওভার থেকেই ম্যাচে আধিপত্য দেখাতে শুরু করে ভারত। বিষাক্ত ইনসুইঙ্গারে ওপেনার দিলারা আক্তারকে ফিরিয়ে দেন রেণুকা সিং। শুরুতেই মাত্র ২১ রানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি তাঁরা। যদিও অধিনায়ক সুলতানা একপ্রান্ত থেকে উইকেট ধরে রেখেছিলেন। তিনিও অত্যন্ত ধীরগতির ইনিংস খেলে ৫১ বলে ৩২ রান করে ফিরে যান। রেণুকার ৪ ওভারে ১টি মেডেন। মাত্র ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট। পেসের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশ ব্যাটাররা শুধু খাবি খেয়েছে তা নয়। স্পিনের বিরুদ্ধেও একই পরিস্থিতি। বাঁ হাতি স্পিনার রাধা যাদব ৪ ওভারে ১টি মেডেন, ১৪ রান দিয়ে তিনিও ৩ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন পূজা বস্ত্রকার ও দীপ্তি শর্মা। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ৮০ রান করে বাংলাদেশ।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিমা ধারণ করেন স্মৃতি মান্ধনা। ১১ ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় ভারত। একটিও উইকেট ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। হাফসেঞ্চুরি করেন স্মৃতি মান্ধানা। মাত্র ৩৯ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন স্মৃতি। ৯টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। আর এক ওপেনার শেফালি ২৮ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এদিন ভারতীয়দের মধ্যে মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক রান স্কোরার হলেন ভাইস ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানা। ছাপিয়ে গেলেন ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌরকে। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৩৪১৫ রান করেছেন হরমনপ্রীত কৌর। ওপেনার তথা ভাইস ক্যাপ্টেন স্মৃতির রান ৩৪৩৩। ফাইনালে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান ম্যাচের বিজয়ীদের মুখোমুখি হবে ভারত। এখন ফাইনাল এবং অষ্টম ট্রফির অপেক্ষা ভারতীয় শিবিরে।