পাকিস্তানের ছোড়া শেলে মৃত্যু এক ভারতীয় মহিলার

পাকিস্তানের ছোড়া শেলের আঘাতে মৃত্যু হল এক ভারতীয় মহিলার। আহত হয়েছেন আরও একজন। বৃহস্পতিবার  উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলার উরি সেক্টরের এই ঘটনায় আতঙ্কে স্থানীয়রা। এদিকে শুক্রবার সকালেও সীমান্ত এলাকায় টানা গোলাবর্ষণ চলছেই।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, রেজারওয়ানি থেকে বারামুলা যাওয়ার পথে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে ছোড়া একটি শেল মোহুরা অঞ্চলে এসে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান রেজারওয়ানির বাসিন্দা নার্গিস বেগম। তিনি বাসির খান নামে এক ব্যক্তির স্ত্রী। আহত হন হাফিজা নামের আর এক মহিলা। হাফিজাকে বারামুলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।

বুধবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই লাগাতার নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গুলি বর্ষণ করছে পাক সেনা। যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গভীর রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের  কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি এবং আখনুরে গুলি এবং মর্টার শেল চলে। পুঞ্চে প্রায় ১৫ নিরীহ গ্রামবাসীর প্রাণ গেছে গতকালই। শহিদ হয়েছেন এক জওয়ানও। এবার ফের মৃত্যুসংবাদ এল উরি থেকে। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই উত্তর কাশ্মীরের উরি ও কুপওয়ারা সীমান্তে একটানা গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, বহু পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে সরছে।

একধাপ এগিয়ে, বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান জম্মুকাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের সীমান্ত এলাকায় একযোগে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাক সেনা এই হামলার অংশ হিসেবে জম্মু, পাঞ্জাবের পাঠানকোট ও রাজস্থানের জয়সলমীরে আর্টিলারি ফায়ারও চালায়।যদিও ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দক্ষ প্রতিরোধে সমস্ত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়। বিশেষ করে জয়সলমীরে একাধিক পাক ড্রোনকে মাঝ আকাশেই প্রতিহত করা হয়। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং আকাশে আলোর ঝলকানিও দেখা যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তবে উরি ও কুপওয়ারা এলাকায় টানা পাক গোলাবর্ষণে জনজীবনে প্রভাব পড়েছে। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যাচ্ছেন। প্রশাসনের তরফে নজরদারি ও সতর্কতা জারি করা হয় সীমান্তবর্তী অঞ্চলজুড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − two =