ভারতের স্বপ্নভঙ্গ, কাতারের গেছে পরাজয় ২-১ গোলে

এগিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হল না ভারতের।  নির্ধারিত সময়ের শেষে ১-২ গোলের ব্যবধানে শক্তিশালী কাতারের কাছে পরাজিত হল ইগর স্টিমাচের ছেলেরা। ভারতীয় দলের হয়ে গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন লালিয়ান জুয়ালা ছাংতে। প্রথমার্ধের শেষে সেই গোলেই এগিয়েছিল ব্লু-টাইগার্সরা। যা নিঃসন্দেহে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল সকলের। ব্যাপকভাবে তার প্রভাব পড়েছিল ম্যাচের মধ্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ধরে রাখা সম্ভব হলনা রাহুলদের। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে এসে দুইটি গোল তুলে নেয় শক্তিশালী কাতার দল। গোল পান যথাক্রমে ইউসুফ আয়মেন এবং দাপুটে সেন্টার ফরোয়ার্ড আহমেদ আল-রাভি। এই ম্যাচের শুরু থেকেই ঘন ঘন আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করেছিল ব্র্যান্ডনরা। এমনকি একাধিকবার গোলের সহজ সুযোগ ও হাতছাড়া করেন বাঙালি ফরোয়ার্ড রহিম আলী। নাহলে প্রথমার্ধেই একাধিক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারত ভারতীয় ফুটবল দল। তাদের এই আক্রমণ যথেষ্ট ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল কাতারকে। এরপর ৩৭ মিনিটের মাথায় ছাংতের পা থেকে আসে বহু প্রতীক্ষিত গোল। প্রথমার্ধের শেষে ঘরের মাঠেই পিছিয়ে পড়ে কাতার। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণে ওঠার লক্ষ্য থাকলেও ভারতীয় আপফ্রন্টের সামনে বারংবার পিছিয়ে পড়তে হয় তাদের। কিন্তু সময় এগোনোর সাথে সাথে চাপ ক্রমশ বাড়াতে থাকে টিনটিন মার্কুয়েজের ছেলেরা। এরপর ম্যাচের ৭৩ মিনিটের মাথায় আয়মেনের পা থেকে আসে বিতর্কিত গোল। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে প্রথমে ফ্রি কিক পায় কাতার। শটটা সোজা কাতারের এক প্লেয়ারের কাছে যায়। তিনি চলতি বলে হেড দেন, বলটা যায় গুরপ্রীতের কাছে। গুরপ্রীত বলটাকে আটকাতে পারেননি। বলটা তাঁর পায়ে লেগে মাঠের বাইরে যায়। সেই সময় কাতারের ডিফেন্ডার হাসমি আল হুসেন বলটা মাঠের বাইরে থেকে টেনে নিয়ে আসেন। এরপর তাঁর পা থেকে বলটা নেন ইউসেফ আইমেন। আর তিনি বলটা গোলে ঠেলে দেন। এতেই শুরু হয় বিতর্ক। বলটা যখন গুরপ্রীতের কাছ থেকে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যায় সেই সময় ভারতীয় প্লেয়াররা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কারণ বলটা মাঠের বাইরে চলে যায়। এরপর ওই বলই কাতারের প্লেয়ার টেনে এনে গোল করেন। যা আইনের মধ্যে পড়ে না।

তবে গুরপ্রীত থেকে শুরু করে সকলে প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি ছিল, কাতার বাইরে থেকে বল টেনে এনে গোল করেছে। কিন্তু রেফারি ভারতের দাবি না শুনে গোল কাতারকে দেন এবং এতে তারা সমতা ফেরায়। এই বিষয়টা নিয়ে সমর্থকরা সকলেই নিন্দা করেছেন। বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারের মতো রাউন্ডে যদি রেফারিংয়ের এই মান হয় তাহলে বাকি ক্ষেত্রে কী হবে সেই প্রশ্ন তোলেন সমর্থকরা। অনেকের দাবি, এই গোলটা না হলে ভারতের পক্ষে যেতে পারত ম্যাচটা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + one =