নীতি আয়োগের বৈঠক ঘিরে তুলকালাম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। তাঁর মাইক অফ করে দেওয়া হয়েছিল ৫ মিনিটের মধ্যেই। যদিও কেন্দ্র এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই অপমানে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা। আর তা নিয়ে বিজেপি এবং বিরোধী শিবিরে বেধেছে তরজাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমর্থনে কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ পোস্ট করতেই পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ।
শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াক আউট করার পরই, তাঁর সমর্থনে পোস্ট করেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। তিনি লেখেন, ‘যেহেতু ১০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল, নীতি আয়োগ পিএমও-র দফতরের সঙ্গে যুক্ত এবং প্রধানমন্ত্রীর নামে ঢাক পেটানোর কাজ করে। কোনওভাবেই এটি কেন্দ্র-রাজ্যর সহযোগিতায় কাজ করেনি। সম্পূর্ণ পক্ষপাতিত্ব করেছে, কোনওভাবেই এটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান নয়। এই মিটিংগুলিও নাটক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যা হয়েছে, তা নীতি আয়োগের স্বভাবসিদ্ধ বিষয় হলেও, কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
জয়রাম রমেশের এই টুইটের পর চুপ থাকেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণও। তিনি বলেন, ‘জয়রাম, তুমি তো বৈঠকে ছিলেও না! আমরা সকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনেছি। উনি সম্পূর্ণ সময় ধরেই বলেছেন। আমাদের টেবিলের সামনে রাখা স্ক্রিনে সময় দেখা যাচ্ছিল। কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী বরাদ্দ সময়ের অতিরিক্ত বলেছেন, তাদের অনুরোধেই অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। কারোর মাইক বন্ধ করা হয়নি, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর। মমতাজি মিথ্যা ছড়াচ্ছেন।’
নির্মলা সীতারামণ আরও বলেন, ‘আমি খুশি হয়েছিলাম যে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় যোগ দিয়েছিলেন। আরও খুশি হয়েছিলাম যে উনি বাংলা এবং গোটা বিরোধী পক্ষের হয়ে কথা বলছিলেন। ওঁর বক্তব্যের সঙ্গে আমি সহমত হতে বা না-ই হতে পারি। কিন্তু উনি বেরিয়ে এসে যে ভিত্তিহীন কথা বলছেন, তাতে আমার একটাই কথা মনে হচ্ছে যে ইন্ডিয়া জোটকে খুশি করতেই এই কাজ করছেন।’