ইন্দ্রানুজের অভিযোগ এফআইআর হিসেবে নিতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

যাদবপুর কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগ এফআইআর হিসাবে নিতে হবে। এর পাশাপাশি এই ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে আদালতের তরফ থেকে। এদিকে যাদবপুরের অচলাবস্থা থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দফায় দফায় মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। অচলাবস্থা কাটিয়ে যাদবপুরকে সচল করার দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অর্ক নাগ। তাঁর দাবি, ছাত্রদের আন্দোলেনের জন্য আপাতত বন্ধ হয়ে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আসছেন না উপাচার্য। যদিও এই মামলায় এখনই হস্তক্ষেপ চায়নি আদালত। এদিন এই মামলা উঠেছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলায় প্রধান বিচারপতির স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ, ‘রাজ্যকে পদক্ষেপ করতে দিন। রাজ্যের নির্দিষ্ট ক্ষমতা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্ষমতা আছে।’ তবে এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি এও জানান, ‘আমরা এখানে বসে নেই তাদেরকে জানাতে কী ক্ষমতা আছে।’

অন্যদিকে ছাত্রদের হয়ে আইনি লড়াই লড়ছেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। এদিন সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। সূত্রের খবর, এদিন সওয়াল জবাবের সময় বিকাশ ভট্টাচার্য সওয়াল করতে গিয়ে জানান, ‘৭ জনের এফআইআর-এ মিথ্যে দাবি করা হয়েছে। ছাত্রদের কোন এফআইআর নেওয়াই হয়নি। কিন্তু, যাঁরা ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাদের এফআইআর নেওয়া হয়েছে।’ এরপরই কেন এফআইআর নেওয়া হয়নি তা রাজ্যের কাছে জানতে চান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সঙ্গে তিনি এও জানান, পরে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট থেকে তিনি ঘটনা জানবেন।

অন্যদিকে এদিন রাজ্যের তরফে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এফআইআর নিয়েছি। যারা এসেছিল কারও নম্বর ঠিকানা ইত্যাদি দেয়নি। ভিসি কিছু জানাতে পারেননি।’ পাল্টা বিচারপতি এও বলেন, ‘যে আক্রান্ত হয়েছে তাঁর বক্তব্যকে কেন এফআইআর হিসাবে নেননি। সব কিছু বাদ দিলেও স্বীকার করতে হবে আপনাদের ইন্টালিজেন্স ব্যর্থ হয়েছে।’ বিচারপতি সঙ্গে এও জানতে চান, ইন্টেলিজেন্স মন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন কি না যে আন্দোলন চলছে। তাঁর আসা ঠিক হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 8 =