ইন্ডাসইন্ড ব্যাংক লিমিটেড এবং আইবিএল-এর সম্পূর্ণ মালিকানাধীন ভারত ফাইন্যানশিয়াল ইনক্লুশন লিমিটেড , ভারত সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারত সঞ্জীবনী কৃষি উত্থান উদ্যোগ লঞ্চ করার কথা ঘোষণা করল। এই উদ্যোগের লক্ষ্য সরকারের এই ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম “ফর্মেশন অ্যান্ড প্রোমোশন অফ ১০,০০০ ফার্মার প্রোডিউসার অর্গানাইজেশনস ”-কে সাহায্য করা, যাতে সারা দেশের এফপিও-গুলিকে এক শক্তিশালী কাঠামো ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া যায়। ভারত সরকারের সঙ্গে এই পার্টনারশিপ গড়ে BFIL ও IBL কৃষকদের অত্যাবশ্যক সংসাধন এবং সহায়তা জুগিয়ে ভারতের কৃষিক্ষেত্রের বৃদ্ধি ও সুস্থায়িতার প্রতি নিজেদের একনিষ্ঠতা আরও একবার প্রমাণ করল।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, এফপিওগুলি কৃষকদের তাঁদের দরাদরির ক্ষমতা বাড়ানোর, বড় অর্থনীতিকে ব্যবহার করার, উৎপাদনের খরচ কমানোর এবং কৃষকদের ফসল একত্র করে তাঁদের আয় বাড়ানোর সুযোগ দেয়। ফলে তাঁদের সুস্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকা নেয়। এই সেন্ট্রাল সেক্টর স্কিম, বিশেষ করে প্রান্তিক চাষিদের জন্য, কৃষি উৎপাদন এবং লাভযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য সরকারের বৃহত্তর একটা অংশ। বিএফআইএল এবং আইবিএল -এর কর্পোরেট সোশাল রেসপন্সিবিলিটি সিএসআর চালিত এই যৌথ উদ্যোগের লক্ষ্য, কৃষি উৎপাদন বাড়ানো, সুস্থায়ী চাষের অভ্যাস প্রচার করা এবং ১১টি রাজ্যজুড়ে ধারাবাহিকভাবে কৃষকদের আয়ের উন্নতি ঘটানো। যে সব রাজ্য়ে এটি করা হচ্ছে সেই তালিকায় রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ।
এর ফলে ভারত সঞ্জীবনী কৃষি উত্থান-এর অধীনে বি এফআইএল এবং আইবি এল জাতীয় স্তরে এবং ওই ১১টি রাজ্যে সেন্ট্রালাইজড প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট গড়ে তুলবে, যাতে কার্যকরীভাবে এফপিও প্রকল্পগুলি রূপায়ণের উপর নজর রাখা যায়, সহায়তা করা যায় এবং পথ দেখানো যায়। এই মউ এফপিও উন্নয়নের লক্ষ্যগুলি পূরণ করতে কৃষি মন্ত্রকের সঙ্গে কর্পোরেট শক্তিগুলির প্রথম প্রথাসিদ্ধ যৌথ উদ্যোগ। এই উদ্যোগ গ্রামের ক্ষমতায়নের জন্যে সরকারি-বেসরকারি পার্টনারশিপ তৈরি করার প্রয়াস তুলে ধরল। এই মউয়ের মাধ্যমে বিএফআইএল ও আইবিএল ডেটা ম্যানেজমেন্ট, সক্ষমতা নির্মাণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামোর মত ব্যাপারে টেকনিকাল সাহায্য জোগায়। বিএফআইএল ও কৃষি/উদ্যান পালন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি, বাজারের সঙ্গে সংযোগ, কোল্ড চেন, সামাজিক ক্ষেত্রে ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করবে দৈনন্দিন কাজকর্মে সমন্বয় সাধন করে প্রকল্পকে চালিয়ে নিয়ে যেতে।
এই মউ স্বাক্ষর করেছে ভারত সরকারের কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন মন্ত্রক, বিএফআইএল এবং আইবিএল।
এই তাৎপর্যপূর্ণ পার্টনারশিপ সম্পর্কে ফয়েজ আহমেদ কিদোয়াই, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি, ভারত সরকারের MoA & FW, বললেন “চাষবাসে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে বিএফআইএল ও আইবিএল-এর দায়বদ্ধতা প্রশংসনীয়। তথ্যপ্রযুক্তি সমাধান ব্যবহার করা, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট জোগানো এবং নিজেদের পারদর্শিতা জুগিয়ে বিএফআইএল ও আইবিএল কৃষকদের তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং তাঁদের উৎপাদন করার অনুশীলন বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। ফলে কৃষিক্ষেত্রের বৃদ্ধি ও সুস্থায়িতা বাড়ছে।”
শ্রীনিবাস বোনাম, হেড – ইনক্লুসিভ ব্যাঙ্কিং, সিএসআর অ্যান্ড সাস্টেনেবিলিটি, আইবিএল, জানান, “ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের যৌথ উদ্যোগ সুস্থায়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধিকে লালন করার ক্ষেত্রে আমাদের যাত্রায় এক মাইলফলক। কৃষি সংলগ্ন পরিষেবা থেকে মূলধারার চাষবাসে সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা গ্রামীণ ভারতের কৃষিক্ষেত্রে নমনীয়তা এবং ক্ষমতায়নের যে জাতীয় লক্ষ্য, তা পূরণের পথেই এগোচ্ছি।”
এরই পাশাপাশিজে শ্রীধরন, এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান, বিএফআইএল, জানান, “এফপিও-গুলোকে সাহায্য করতে ভারত সঞ্জীবনী কৃষি উত্থান উদ্যোগ লঞ্চ করার জন্য কৃষি মন্ত্রকের সঙ্গে স্বাক্ষরিত এই মউয়ের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের সরাসরি ফায়দা হবে এমন প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধানে জোগানোয় অবদান রাখতে পেরে গর্বিত। কৃষি সংলগ্ন ক্ষেত্রে আমাদের ধারাবাহিক কাজ কৃষিতে একই ধরনের পারদর্শিতা প্রয়োগ করার জন্যে আমাদের ভালভাবে তৈরি করে দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এই ক্ষেত্রে শক্তিশালী, উৎপাদনশীল এফপিও তৈরি করা যা কৃষকদের আয়ের বিপুল উন্নতি ঘটাবে এবং তা ঘটবে সুস্থায়ী পথে।”