কেরলের ছায়া এবার পশ্চিমবঙ্গেও। মিডল বাঙ্কের শিকল খুলে আহত হলেন এক যাত্রী। রবিবার সকালে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস শিয়ালদহ ঢোকার সময়ে লোয়ার বাঙ্কে বসেছিলেন বিমলেন্দু রায়। আচমকা তার মাথায় খুলে পড়ে শিকল। মাথা থেকে রক্ত বেরোতে থাকে। অভিযোগ, শিয়ালদহ স্টেশনে ঘটনা ঘটলেও রেলের কোনও ডাক্তারকে হাতের কাছে পাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত সহযাত্রীদের উদ্যোগে রেলের কর্মরত টিটিই তাকে স্টেশন মাস্টারের কাছে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে নীলরতন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে বিমলেন্দুবাবুর সহযাত্রীরা জানাচ্ছেন, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের থার্ড এসি-তে ৪১ ও ৪৪ নম্বর বার্থের মধ্যে বসেছিলেন বিমলেন্দুবাবু। এই সময় মিডল বার্থের চেনটি আচমকা খুলে যায় লক থেকে এবং সেটি সমেত খুলে পড়ে যাত্রীর মাথায়। তবে হঠাৎ করে কীভাবে এই ঘটনা ঘটে গেল তা নিয়ে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রেলের তরফে জানা যাচ্ছে, কোনও ভাবে তিনি মিডল বার্থ খোলার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় চেনটি আচমকা খুলে যায় এবং তার মাথায় গিয়ে পড়ে। এর জেরে মাথার একটি অংশ ফেটে যায়। ট্রেনের ভিতরেই ওই পুরুষযাত্রীর প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। প্রসঙ্গত, জুন মাসেই কেরলে বৃদ্ধ যাত্রীর ওপর ভেঙে পড়েছিল ট্রেনের আপার বার্থ। আলি খান নামে বছর বাষট্টির এক প্রৌঢ় উঠেছিলেন এর্নাকুলম-হজরত নিজ়ামুদ্দিন মিলিনিয়াম সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে (১২৬৪৫)। কেরল থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন তিনি। আচমকাই ওই যাত্রীর ঘাড়ে ভেঙে পড়ে ট্রেনের মিডল বার্থ। গুরুতর চোট পান তিনি। পরে জানা তিনটি হাড় ভেঙে গিয়েছে তাঁর। শেষেমেশ মৃত্যু হয় ওই যাত্রীর। তবে রেল তরফে গোটা ঘটনার দায় ঝেরে ফেলেছে। তাদের বক্তব্য, মিডল বার্থে যে যাত্রী বসেছিলেন তিনি ঠিকমতো চেন লাগাননি। যার জেরে সেটি ভেঙে পড়েছিল। তবে এই ঘটনায় দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে খাস কলকাতায় ঘটল এই ঘটনা। ফলে ফের সমালোচনার মুখে রেল।