২০৪৭-র মধ্যে সবার জন্য বিমা। আসন্ন বাজেটে এবার এমনই মেগা ঘোষণা করতে পারে নরেন্দ্র মোদি সরকার। সূত্রের খবর, তার জন্য ১৯৩৮-র বিমা আইনের বড় পরিবর্তন করবে কেন্দ্র। এবারের বাজেট বক্তৃতাতেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আম জনতার সবাইকে বিমার আওতায় আনতে এই সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী বিল আনবে সরকার। সেখানে কম্পোজিট লাইসেন্স, ডিফারেনশিয়াল ক্যাপিটাল, সলভেন্সির নিয়ম-কানুন শীথিল করার মতো বিষয়গুলিকে গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়াও সংশোধনী বিলে ক্যাপটিভ লাইসেন্স দেওয়া ও বিমা কোম্পানিগুলিকে একবার রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দিতে পারে কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর ফলে ব্যাঙ্কিংয়ের মতোই সম্পূর্ণ আলাদাভাবে ব্যবসা বাড়াতে পারবে দেশের তাবড় বিমা সংস্থা।
ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে বর্তমানে বেশ কয়েকটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করেছে সরকার। সেগুলি হল, ইউনিভার্সাল ব্যাঙ্ক, স্মল ফিন্যান্স ব্যাঙ্ক ও পেমেন্টস ব্যাঙ্ক। বিমার ক্ষেত্রে কম্পোজিট লাইসেন্সের অনুমতি দিলে লাইফ ইনসিয়োরেন্স কোম্পানি অন্য ধরনের স্কিম আনতে পারবে। অর্থাৎ লাইফ ইনসিয়োরেন্স কোম্পানির স্বাস্থ্য বিমা বা অন্য কোনও সাধারণ বিমা বাজারে লঞ্চ করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না।
বর্তমানে ১৯৩৮-র যে বিমার আইন রয়েছে, তাতে এই সুবিধা নেই। ফলে লাইফ ইনসিয়োরেন্স কোম্পানি শুধু মাত্র জীবন বিমাই বাজারে আনতে পারে। আবার একই ভাবে স্বাস্থ্য বিমার সংস্থায় নেই কোনও স্কিম। সরকারি নিয়মে জেনারেল ইনসিয়োরেন্সের মধ্যে রাখা হয়েছে একাধিক বিষয়। এরই আওতায় রয়েছে স্বাস্থ্য বিমা। এছাড়াও এর মধ্যে গাড়ি, আগুন ও মেরিন বিমা রাখা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বিমার আইনে বদল আনতে বিলের খসড়া ইতিমধ্য়েই তৈরি হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রিসভার অনুমতি পেলেই শুরু হবে চূড়ান্ত বিল তৈরির কাজ। অর্থ মন্ত্রকের কর্তা-ব্যক্তিদের দাবি, আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই পেশ করা হবে এই বিল।
এদিকে সূত্রে খবর, পলিসি হোল্ডারদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে বিমা আইনে বদল আনছে কেন্দ্র। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হবে তাঁরা। পাশাপাশি, বিমা ক্ষেত্রে বাড়বে কাজের সুযোগ। বিমা কোম্পানিগুলি ব্যবসা বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ পাবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, বিমা আইন সংশোধিত হলে বাজারে বাড়বে স্মল ইনসিয়োরেন্সের সংখ্যা। ফলে দেশের দূরবর্তী এলাকাতেই মিলবে বিমার সুবিধা। বর্তমানে এদেশে রয়েছে ২৫টি জীবন বিমা কোম্পানি। এছাড়া স্বাস্থ্য় বিমা-সহ অন্যান্য বিমা সংস্থার সংখ্যা ৩২ বলে জানানো হয়েছে।