পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটল তা দেখে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিরা। সবার একটাই প্রশ্ন, এই মৃত্যু মিছিলের শেষ কোথায়?
ভোট শুরুর প্রায় এক মাস আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গ্রাম বাংলা। গণতন্ত্রের বৃহত্তম উৎসবের ঘোষণা পর থেকেই মনোনয়নকে ঘিরে শুরু হয় রক্তপাতের ঘটনা। আহতের সংখ্যা অগণিত, মারাও যান অনেকেই। শনিবার নির্বাচনের দিন সেই মৃত্যুমিছিল আরও দীর্ঘায়িত হয়েছে। সঙ্গে উস্কে দিয়ে গেছে ২০১৮ সালের সেই দুঃস্বপ্নের দিনগুলি।
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অধিকাংশ জায়গায় শাসক দলের জয়ের অভিযোগ এনেছিল বিরোধীরা। পরিসংখ্যান বলছে, পাঁচ বছর আগে ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। রিগিং, সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের। ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের চিত্রতে কোনও বদল হয়নি বলে দাবি বিরোধী শিবিরের। এবার শুধু ভোটের দিন বলি হয়েছেন কমপক্ষে ১৮ জন। যার মধ্যে রয়েছেন শাসক-বিরোধী-ভোটার সবাই-ই। গণতান্ত্রের নামে এই প্রহসন নিয়ে এবার সরব হলেন কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা।
অভিনেতা ঋদ্ধি সেন ভোটের নামে সারা বাংলায় যে তাণ্ডব হয়েছে তার বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে সুর চড়িয়ে বলেন,‘পড়ে থাক গণতন্ত্রের লাশ, পচুক , গন্ধ বেরোক , সেই গন্ধ নাকে নিয়ে মাংস ভাত খাক রাজনৈতিক শিবিরগুলো , দুপুরবেলা আমরাও খাই পেট ভরে। গন্ধটা আরও তীব্র হওয়ার আগে চলুন খেয়ে নিই, আসুন, যোগ দিন মাংস ভাত খাওয়ায়, আমাদের ভাগাড়ের মাংস।’
একই সুরে কথা বলেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। নিজের ফেসবুকের পাতায় একটি পুতুল হাতে নিজের ছবি পোস্ট করেন অভিনেতা লিখেছেন, ‘আমার বাচাল পুতুলটা প্রশ্ন করছে, পুলিশ কবে পুলিশ পুলিশ খেলে?
উত্তরটা জানা থাকলে বেচারাকে একটু জানিয়ে দেবেন।’
অন্যদিকে, ভোট ঘিরে যে মৃত্যুমিছিল হয়েছে তা দেখে ‘বুদ্ধিজীবীদের’ কাছে একটা প্রশ্ন রেখেছেন অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘এটা ভোট? তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা পথে নামবে না?’