সাংসদ খুনের ঘটনার তদন্তে সিআইডির প্রশংসা বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধানের

শ্যামসুন্দর মান্না

 

মঙ্গলবার নিউটাউনে ঢাকা গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তকারী দলের প্রধান হারুণ আর রশিদকে প্রশংসা করতে দেখা গেল রাজ্য গোয়েন্দা দফতর সিআইডির। জানান, সাংসদের খুনের ঘটনায় সিআইডি খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। এদিকে এর পাশাপাশি বাংলাদেশ তদন্তকারী দলের তরফ থেকে এও জানানো হয়, যে খালে খুনের পর দেহাংশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে ধৃতের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, সেখানে টানা তল্লাশি চলছে। এছাড়া নিউটাউনের ফ্ল্যাটে খুনের পর শৌচালয় সাফ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেখানকার নিকাশি পাইপ ভাঙা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার গোয়েন্দা প্রধান।

প্রসঙ্গত, আনোয়ারুল হত্যাকাণ্ডের তদন্তে রবিবার ঢাকা থেকে কলকাতায় এসেছে ঢাকার গোয়েন্দাদের তিন সদস্যের দল। আপাতত এই ঘটনার তদন্তে থাকা সিআইডি-র সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন তাঁরা। সোমবার থেকে যৌথভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। খালগুলিতে তন্নতন্ন করে খোঁজা হচ্ছে দেহাংশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছুই মেলেনি।

একইসঙ্গে তদন্তের গতিপথ নিয়ে মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান হারুণ আর রশিদ জানান, বাংলাদেশে ধৃতদের কাছ থেকে যে তথ্য মিলেছে, তার সঙ্গে এখানকার তথ্যপ্রমাণ, ধৃতদের বয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া একাধিক ডিজিটাল এভিডেন্স হাতে এসেছে। তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ঢাকার গোয়েন্দা প্রধান। সঙ্গে এও জানান, ‘সিআইডি-কে অনুরোধ করেছি, ওই ফ্ল্যাটের সুয়ারেজ পাইপ ভাঙার পাশাপাশি হাতিশালা ব্রিজের নিচের খালটি সার্চ করতে। বাংলাদেশে ধৃত তিনজনের সঙ্গে এখানে ধরা পড়া আসামির সাক্ষ্য মিলিয়ে দেখছি। শনাক্তকরণের কাজ বিস্তারিতভাবেই চলছে। তদন্ত নিয়ে আমরা খুব কাজ করছি। হতাশ নই।’ তবে এখানে ধৃতকে হেফাজতে নেওয়া হবে কি না সেই প্রসঙ্গে ঢাকার গোয়েন্দা প্রধান জানান, প্রয়োজন মনে করলে অবশ্যই হবে। তবে এখনই তা নিয়ে ভাবনা নেই। কতদিন এখানে থেকে তদন্ত করবেন তাও নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তাঁরা।

এদিকে রাজ্য় গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, বাংলাদেশের সাংসদ  খুনের ঘটনায় দেহাংশ খুঁজে পেতে ডুবুরি নামানো হয় নিউটাউনের হাটগাছা এলাকার অ্যাকোয়াটিকা পার্ক সংলগ্ন খালে। এর আগে ভাঙরের কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খালি পরপর চারদিন খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালায় সিআইডি। যদিও সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই উদ্ধার হয়নি।

সিআইডি সূত্রে আরও খবর,ভাঙড়ের গাবতলায় খালে সাংসদ এর দুটি মোবাইল ফোন ও কোমরের বেল্ট সহ বাকি বেশ কিছু জিনিস ফেলা হয়েছিল বলে ধৃত জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে সিআইডি। সেখানেও ডুবুরি নামানো হবে। অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আখরুজ্জামানের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিআইডি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 3 =