‘তদন্তের নামে ভয় দেখানো কাম্য নয়। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কেন্দ্রের শাসকদল এ রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে।‘ রবিবার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে হানা দেওয়ার পরই এমনই কথা অভিযোগের সুরে বলতে শোনা গেলতৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে।
তবে এর পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হানা প্রসঙ্গে তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা এও জানান, ‘দুর্নীতি প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি হোক। তবে তদন্তের নামে দীর্ঘদিন তা ফেলে রাখা ঠিক নয়। সারদা কেলেঙ্কারির দশ বছর হয়ে গেল। এখনও কেউ শাস্তি পেল না। এটার কোনও মানে নেই। আছে-আছে করে জিইয়ে রেখে দেওয়া।’
অন্যদিকে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এদিনের এই সিবিআই অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের একনেতা অপর নেতার বিরুদ্ধে। এক নেতার বাড়িতে সিবিআই গেলে অন্য নেতা পার্টি করেন। এই বর্তমান অবস্থা।’ গোষ্ঠী কোন্দলের কথা উল্লেখ করে তিনি এও বলেন, ‘তৃণমূলের কর্মীরাই বলছেন এরপর কাকে ডাকবে? ভিতরে কী কথা হয় আমি বা আমরা কেউই জানি না। সূত্রের খবর বলে কিছু প্রাথমিকভাবে জানা যায়।‘
প্রসঙ্গত, রবিবার পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর বাড়িতে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। দুই বিধায়কের বাড়িই ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে আইনজীবীদের। তবে ঘণ্টা পাঁচেকের অভিযান চালিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। এরপরই মদন মিত্রের আইনজীবী জানান, কামারহাটির বিধায়কের বাড়ি থেকে কোনও কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।