পেট্রল পাম্পের মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠল আইএনটিটিইউসি নেত্রী কবিতা গুপ্তার বিরুদ্ধে। কবিতা গুপ্তা পেট্রল পাম্পের ভিতরেই মালিক সুমনা দাস রায়কে মারধর করেন বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ফুলবাগান থানায়।
পাম্পের মালিক সুমনা দাসের দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে বেশ কিছু লোককে নিয়ে আসেন আইএনটিটিইউসি নেত্রী কবিতা গুপ্তা। তাঁরা জোর করে পেট্রল পাম্প বন্ধের কথা বলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় বেধড়ক মারধর করা হয়। সুমনা বলেন, “যেহেতু আগের লোকজন কাজ করছেন না পুলিশ বলেছিল যাতে নতুন লোকজন নিয়ে কাজ চালাই। আমি সেই মতো নতুন স্টাফ নিয়েই কাজ চালাচ্ছিলাম। এরপর পুরনো ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে আইএনটিটিইউসি কবিতা গুপ্তা পাম্পে ঢোকেন। তারপর পুরনো কর্মচারিরা মিলে আমার এই ছেলেদের মারে। আমায় অ্যাটাক করে। যাঁরা বাঁচাতে যায় তাঁকেও মেরেছে। তারপর গালিগালাজ তো আছেই। এরপরই পুলিশে ফোন করি। পুলিশ এসে দেখে। আমার কাছে কোর্টের অর্ডার আছে যাতে পেট্রোল পাম্পের ভিতর কিছু অশান্তি না হয়। ওরা বলছে, আমরা কোনও কোর্টের অর্ডার মানি না।’
অপরদিকে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কবিতা গুপ্তার দাবি সুমনার বাবার মৃত্যুর আগে যে কর্মচারি ছিলেন, তাঁর মধ্যে প্রায় বারোজনের বকেয়া বাকি। সেই নিয়েই তিনি কথা বলতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় সুমনা দাস রায় তাঁকে গালাগালি করেন। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নামে গালাগালিও করেন। সেই কারণেই তিনি চড় মেরেছেন। যদি আবার নেত্রীর নামে কুকথা বলে আবার মারবেন বলেও জানিয়েছেন। কবিতা বলেন, “আমি আইএনটিটিইউসি করি। ওখানে ২৫ জন কাজ করত। দুমাস ধরে টাকা দেয় না। আমি ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে। আমি যখন কথা বলি পায়ের উপর পা তুলে কথা বলছে। আমার মুখ্যমন্ত্রীকে তুলে গালিগালাজ করছে। আমি ক্যামেরায় বলছি ও যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালিগালাজ করে আমি আবার মারব।’