মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরপর বিমান হানার পাল্টা জবাব দিল ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস অর্থাৎ আইআরজিসি। রবিবার সকালে ইজরায়েলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানীয় বার্তা সংস্থা ইরনা-র মতে, এটি চলমান যুদ্ধের ২০তম ধাপে হামলা।
এই হামলায় অন্তত ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, যার মধ্যে ছিল ভয়ঙ্কর খোররামশহর-৪ ব্যালিস্টিক মিসাইল। এই মিসাইল প্রতিটি ১,৫০০ কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। এদিকে ইরানের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এই হামলায় বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর, একটি জৈব গবেষণা কেন্দ্র, লজিস্টিক ঘাঁটি ও বেশ কিছু কম্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার তাদের লক্ষ্য ছিল।
এদিকে সূত্রে খবর, এই ইরানি হামলার ঠিক আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্র—ফোরদো, নাটাঞ্জ এবং ইসফাহানে বিমানহানা চালিয়ে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি করে। জেনারেল ড্যান কেইন জানান, মার্কিন ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এ ১২৫টি এয়ারক্রাফট ব্যবহৃত হয় এবং এটি ছিল ২০০১ সালের পর থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ বি-২ ফ্লাইট। এদিকে ইজরায়েলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ইরানি হামলায় দক্ষিণ ও মধ্য ইজরায়েলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তেল আভিভে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে ও একটি বড় আকারের ভবন ধ্বংস হয়। এই হানায় ৮০ জন আহত হয়েছেন তবে তবে অধিকাংশের আঘাত হালকা।
পাল্টা প্রতিশোধে, ইজরায়েল পশ্চিম ইরান ও কোম শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইয়াজদের একটি দীর্ঘ পাল্লার মিসাইল ঘাঁটিও ধ্বংস করা হয়। ইরানের সরকারি সূত্রে জানা যায়, ইজরায়েলি হামলায় আইআরজিসি-র ৭ জন ও ২ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এই সংঘর্ষে আমেরিকা, ইরান ও ইজরায়েলের ত্রিমুখী উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে বিপজ্জনক এক পরিস্থিতি তৈরি করছে।