বিধ্বংসী আগুনের দাপটে শেষ হাওড়ার পোড়া মঙ্গলাহাট। খবর পেয়ে শুক্রবারই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান থেকে সোজা ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে প্রতি ব্যবসায়ীকে ৫ লক্ষ টাকার ঋণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন। তারই প্রেক্ষিতে শনিবার ব্যবসায়ীরা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তাঁদের সাফ দাবি, ঋণ তাঁদের লাগবে না। প্রয়োজন অনুদানের। এদিকে শনিবার মঙ্গলাহাটের অবস্থা দেখাতে এবং সেখানকার ব্য়বসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে যান ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। সর্বস্বান্ত ব্যবসায়ীরা আইএসএফ বিধায়কের কাছে একটাই দাবি বারবার করেছেন, তাঁরা রাজনীতি চান না। শুধু এই জায়গাতেই তাঁদের ব্যবসা করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।
এদিকে শনিবারই মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, আগুন লাগার জন্য তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধ করার মতো অবস্থা তাঁদের নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের আবেদন, তিনি যেন ঋণের পরিবর্তে ভর্তুকি দেন পুনরায় ব্যবসা চালু করার জন্য। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি, ওই পোড়া হাটেই তাঁরা পুনরায় নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে চান তাঁরা। অন্য জায়গায় গিয়ে তাঁরা ব্যবসা করবেন না। এরই পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা এও জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে ধন্যবাদ ব্যবসায়ীদের ৫ লক্ষ টাকা ঋণ ঘোষণা করার জন্য। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে ঋণ পরিশোধ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ঋণ নয়, অনুদানই আমাদের বাঁচাতে পারে।’