ভাঙড়ের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এর পাশাপাশি গণনাকেন্দ্রে আরাবুল ইসলামের গুন্ডাবাহিনী দখল নিয়েছিল বলেও দাবি করেন নওশাদ সিদ্দিকি। পুলিশকে লক্ষ্য করে আরাবুলের গুণ্ডা বাহিনী গুলি চালায় বলে দাবি তাঁর। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের গণনার রাত থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছিল ভাঙড়কে। গণনার দিন রাতে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে আইএসএফ-এর সঙ্গে পুলিশের এই খণ্ডযুদ্ধ বাধে বলেই জানা গেছে স্থানীয় সূত্র থেকে। এই ঘটনা. পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাও ছোড়া হয়। মঙ্গলবার রাতের এই খণ্ডযুদ্ধে মারা যান ২ আইএসএফ কর্মী এবং ভাঙড়েরই এক সাধারণ যুবক।
এদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত বসিরহাটে। আইএসএফ-এর বিজয়ী প্রার্থীর স্বামীকে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আইএসএফ-এর বিজয়ী প্রার্থী আরজিনা বিবির স্বামী জামাত আলি গাজিকে রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়ে বলে অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। বসিরহাটের পিফা পঞ্চায়েতের ১২৯ নম্বর বুথের আইএসএফ-এর বিজয়ী প্রার্থী আরজিনা বিবির অভিযোগ, তার স্বামী জামাত আলি গাজি বাড়ির নীচের একটি ঘরে একাই ঘুমাচ্ছিল। সেই সময় রাতের অন্ধকারে জানলা দিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে তার স্বামীর উপর আক্রমণ করে । মারধর করলে রক্তাক্ত অবস্থায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন জামাত আলি গাজি। জামাত আলি গাজি মারা গেছেন ভেবে দুষ্কৃতীরা চলে যায়। সকালে উঠে বাড়ির লোকজন দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে জামাত আলি গাজি। তাঁর মাথায় জল দিয়ে জ্ঞান ফিরলে সে বলে রাতে তার ওপর কয়েকজন হামলা চালায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই আরজিনা বিবি বসিরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে আইএসএফ-এর এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয় তৃণমূলের তরফ থেকে।
তবে মঙ্গলবার রাতের পর থেকে যেন কিছুতেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারছে না ভাঙড়। সেদিনের ঘটনার জের ভাঙড়ে ছিল বৃহস্পতিবারও। সকালেও থমথমে ছিল ভাঙড়। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল বোমার চিহ্ন। জায়গায় জায়গায় নাকা চেকিং এর মাধ্যমে চলছে তল্লাশি। অশান্তি আটকাতে চলেছে কড়া পুলিশি নজরদারি।