পাকিস্তানি তরুণীর হানি ট্র্যাপে পড়েই আইএসআই-এর বালি ব্রিজ ওড়ানোর পরিকল্পনায় অজান্তেই পা দিয়েছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর হাতে গ্রেফতার হওয়া ভক্তবংশী ঝা, অন্তত এমনটাই ধারনা তদন্তকারী আধিকারিকদের। কারণ, এসটিএফ সূত্রে খবর, হোয়াটসঅ্যাপে এই ব্রিজটির ছবি তুলে পাক তরুণীকে পাঠিয়েছিল সে। আর সেখান থেকেই এমনই ধারনা করছেন তাঁরা।
সূত্রে এ খবরও মিলছে, বালি ব্রিজের ছবি তুলে একটি নম্বরে পাঠিয়েছিল ভক্তবংশী। এরপরেই অপর প্রান্তে থাকা নম্বরটির খোঁজ নিতে শুরু করেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, তা পাক তরুণীর নম্বর।এদিকে ভক্তবংশী জেরায় জানিয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেতুর তথ্য সংগ্রহ করার কথা তাকে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি কোথায় কী ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে সেই বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কথা বলা হয় তাঁকে। এরই পাশাপাশি এও জানা গেছে সেতুর আরও ছবি পাঠানোর কথা ছিল তার।ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে আইএসআই-এর টার্গেট বালি ব্রিজ ছিল কি না তা নিয়েই। এই তথ্য হাতে আসার পরই গোয়েন্দারা যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখছেন।
শুধু কলকাতাই নয়, দিল্লিতে থাকাকালীনও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের ছবি তুলত সে। আর সেই সূত্র ধরেই গোয়েন্দাদের মনে এ প্রশ্নও জেগেছে, বাংলার কোনও সেতু আইএসআই-এর হাতে তুলে দেয়নি তো ভক্তবংশী। এরপরেই তার হোয়াসটঅ্যাপের যাবতীয় তথ্য পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন গোয়েন্দারা। আর এতেই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।এদিকে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, ভক্তবংশীর কথায় একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লির একটি ক্যুরিয়ার সংস্থায় কর্মরত ছিল ভক্তবংশী ঝা। সম্প্রতি তার পোস্টিং হয় কলকাতায়। হাওড়ায় বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করে সে। এরপরেই কলকাতার বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে সে অপর প্রান্তে পাঠাচ্ছিল বলে সূত্রের খবর। এদিকে এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। এরপরই তাঁকে হানি ট্র্যাপে ফেলা হয়, এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা। আর যার নেপথ্যে থাকতে পারে পাক গুপ্তচর সংস্থাও।