উত্তরবঙ্গে এলেও দক্ষিণবঙ্গ থেকে মুখ ঘুরিয়েছে বর্ষা। বর্ষা এখনই পা রাখছে না দক্ষিণবঙ্গে। এদিকে এই কখনও সখনও বৃষ্টিতে সে দাপটও নেই। ফলে ফের বাড়ছে গরম। এই গরমের সঙ্গে উপকূল ও সংলগ্ন জেলায় বাতাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প। ফলে সব মিলিয়ে এক অস্বস্তিকর আবহাওয়া। এদিকে পশ্চিমের জেলাগুলিতে মোটের উপর আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। রবিবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার থেকে দিনের তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। একইসঙ্গে উর্ধ্বমুখী হবে রাতের তাপমাত্রাও।বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ঘোরাফেরা করছে ৬৫ থেকে ৯৪ শতাংশের মধ্যে। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণেই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকছে।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গেই থমকে রয়েছে মৌসুমী বায়ু। তবে দার্জিলিং-সহ উপরের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছে আলিপুর। দার্জিলি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আগামী কয়েক দিন নেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। পুরুলিয়া বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম মুর্শিদাবাদ কলকাতা হাওড়া হুগলি জেলাতে শুষ্ক আবহাওয়ার সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ও শুষ্ক আবহাওয়ার সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও চড়ছে পারদ। মালদা ও দুই দিনাজপুরে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকছে।
অন্যদিকে হাওয়ার গতিবেগ এবং দক্ষিণবঙ্গের পরিবেশ মৌসুমী বায়ুর অনুকূল নয় বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। ১২ জুন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমই থাকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া দফতরের কর্তারা। হাওয়া অফিস বলছে, বুধবারের পর থেকে আবহাওয়ায় কিছু পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যেতে পারে। তারপর থেকেই ফের বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। বুধবার বিকেলের দিকে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে।