মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই মেয়েকে শেষ দেখা দেখতে পেয়েছিলেন, জানালেন তিলোত্তমার বাবা-মা

শুক্রবার সকালে আরজি করের ঘটনা সামনে আসার পর উত্তাল হয় রাজ্য।  তাতে কেঁপে ওঠে গোটা রাজ্য। এই ঘটনার আঁচ এখন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশে। শুক্রবার সকালে তিলোত্তমার বাড়িতে প্রথমে ফোন করে জানানো হয়েছিল, তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু সে কথা মানতে চায়নি পরিবার। একমাত্র মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতির শুনে মেয়ের কর্মস্থল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন বাবা-মা। কিন্তু তখন হাসপাতালে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে তখন সিপি। কিন্তু মেয়েকে তাঁরা দেখতে পাচ্ছিলেন না। তিন ঘণ্টা ধরে বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের মেয়েকে দেখতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে এই বিষয়টি উল্লেখ করেন তিলোত্তমার বাবা-মা। অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন করেন, ‘৩ ঘণ্টা কেন জেলবন্দি রোগীর মতো বসিয়ে রাখা হল?’ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতেও তিলোত্তমার বাবা-মাকে বাধা দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

অতঃপর সেদিন হস্তক্ষেপ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করার পরই মেয়ের দেহ দেখতে পেয়েছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সেই বিষয়টিও এদিন আদালতে উল্লেখ করা হয়। এত বড় ঘটনা, নৃশংসতার মধ্যেও কেন মেয়েকে দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছিল না সেদিন তিলোত্তমার বাবা-মাকে, তা নিয়েই বিস্তর প্রশ্ন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + 16 =