শিশু বিক্রির ঘটনায় সামনে এল আইভিএফ সেন্টারের যোগাযোগের তত্ত্বও

আনন্দপুর থানা এলাকায় ২১ দিনের ছোট্ট মেয়েকে শিশু বিক্রির ঘটনায় উঠে আসছে আইভিএফ সেন্টারের যোগের তত্ত্ব। কল্যাণী গুহ নামে যে মহিলা ওই শিশুকে কিনেছেন বলে অভিযোগ উঠছে, সেই মহিলা বিভিন্ন আইভিএফ সেন্টারে ঘুরে ঘুরে বাচ্চার খোঁজ করছিলেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সেই সময়েই লাল্টি দে নামে এক মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ হল কল্যাণী গুহর। লাল্টি বেহালার চৌরাস্তার কাছে এক আইভিএফ সেন্টারে কাজ করতেন। সূত্রের খবর, লাল্টি দে’র থেকে কল্যাণী জানতে পারেন পয়সা দিলেই বাচ্চা পাওয়া যাবে। তারপর লাল্টির মাধ্যমেই যোগাযোগ হয় বিক্রি হওয়া সন্তানের মা রূপালি মণ্ডলের সঙ্গে। সূত্রের খবর, রূপালির সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল সন্তান প্রসবের পর কল্যাণীর কাছে বেচে দেওয়া হবে সদ্যোজাত সন্তানকে।

এদিকে পুলিশ সূত্র মারফত খবর, অভিযুক্ত কল্যাণী গুহ পুলিশি জেরায় জানিয়েছে, বিয়ের ১৫ বছর পরও তাঁর সন্তান হচ্ছিল না। এই নিয়ে শাশুড়ির অবিরাম অত্যাচার চলত বলে দাবি কল্যাণীর। সেই কারণে কল্যাণী ও তাঁর স্বামী বাচ্চা কেনার পরিকল্পনা করে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। একরত্তি ওই শিশুর মা রূপালি মণ্ডল আয়ার কাজ করতেন বলে জানা যাচ্ছে। আনন্দপুরের এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও শিশু বিক্রি চক্র জড়িত রয়েছে কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × two =