যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। এরপর বুধবার বেলা ৩টেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে বেলা ৩টের সময় তলব করা হয় লালবাজারে। লালবাজারে জয়েন্ট সিপি ক্রাইমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বলা হয় তাঁদের। সূত্রে খবর, তাঁদের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যেমন, হস্টেলে সিসিটিভি নেই কেন বা রেজিস্টার ঠিকমতো মেইনটেইন হয় কি না এই সব ব্যাপারই জানতে চাওয়া হবে এঁদের কাছে। কারণ, ইতিমধ্যেই এই সব ইস্যুতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্নমহল থেকে। এদিকে সূত্রে খবর, লালবাজারে এদিন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু গেলেও ছাত্র বিক্ষোভের জেরে আটকা পডে়ন ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়।
অন্যদিকে বুধবার বিকেলে যাদবপুর কর্তৃপক্ষকে ডেকেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘অন্ধকার থাকলে আলো নিশ্চয় আছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, খুব শীঘ্রই জানা যাবে।’ আচার্য আরও বলেন, ‘অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি, খুব শীঘ্রই তা বাস্তবায়িত হবে।’ তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তলবের খবর প্রকশ্যে আসে। শিক্ষামহল মনে করছে, এই তলবও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। সঙ্গে শিক্ষাবিদরা আশা করছেন খুব দ্রুতই যাদবপুরের উপাচার্যও নিয়োগ হতে পারে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর খবর পেয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে যান আচার্য বোস। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। পরবর্তীতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেন রাজ্যপাল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও অ্যান্টি র্যাগিং সেলের সদস্যরা। তাছাড়া সেই বৈঠকে ছিলেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও। ছিলেন ২ জন মনোবিদ। সূত্রের খবর, ২ ঘণ্টার ওই বৈঠকে আচার্য জানতে চান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কী রকম তা নিয়ে। পাশাপাশি র্যাগিংয়ের অভিযোগই বা কোন কোন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি করে উঠছে? এমনকী র্যাগিং রুখতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তাও জানতে চান আচার্য। পাশাপাশি মনোবিদদের কাছে রাজ্যপাল জানতে চান র্যাগিং করার মানসিকতা কেন তৈরি হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সে ব্যাপারেও। একইসঙ্গে মৃত ছাত্রের পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন আচার্য।