ইসরোর প্রতিনিধি দল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে গিয়েছেন কিছুদিন আগেই। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সমগ্র ঘটনা জানার পর ক্যাম্পাসের আশপাশ ঘুরে নিরীক্ষণও করেছেন তাঁরা। প্রতিনিধি দল। ক্যাম্পাস পরিদর্শন করার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিশেষ বার্তাও দেওয়া হয়েছে ইসরোর তরফ থেকে এমনটাই সূত্রের খবর। বিশ্ববিদ্যালয়কে নিরাপদ করতে গবেষণা শুরু করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কথা বলেছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে। এরপর র্যাগিং রুখতে মাঠে নামে ইসরো। সামনে আসে ভিডিয়ো অ্যানালেটিক্স, টার্গেট ফিক্সিং, রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সির মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলির কথা। এই সকল প্রযুক্তিগুলিকেই ক্যাম্পাসে বাস্তবায়ন করতে উৎসাহী কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, এই প্রযুক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে বাস্তবায়ন করা যায় তার প্রয়োজনীয় অর্থ রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হবে। রাজ্য যদি রাজি না হয় কেন্দ্রের শরণাপন্ন হবে বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, ‘অর্থের জন্য রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হতে হবে। যদি রাজ্য সরকার না দেয় তাহলে কেন্দ্রের কাছে চাইতে হবে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা কোনও থেকে টাকা রোজগার হয় কি না তা আমার জানা নেই। যেটুকু টাকা আসে তা পড়ুয়াদের অ্যাডমিসন ফিজ থেকেই। তা দিয়ে কিছুই হয় না।’