জামাল সর্দারের বিরুদ্ধে উঠল এক বিস্ফোরক অভিযোগ। ২০২১-এর ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয়েছিল হারান অধিকারী নামে এক ব্যক্তির। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারে মৃত্যু হয় হারানের। সেই হত্যার নাকি মূল মাথাই ছিল এই জামাল।
হারানের পরিবার সূত্রে খবর, তাঁর মৃত্যুর পর কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই তালিকায় ছিল জামালও। ঘটনাস্থলে জামাল থাকার কোনও প্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে না আসায় দু’মাস পরেই মুক্তি পায় সে। জামিনে এখন বাইরে আছে। যদিও হারানের পরিবারের দাবি জামালের উপস্থিতিতেই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। জামালের নির্দেশেই মারধর এবং তারপর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। হারানের মৃত্যু পর তাঁর স্ত্রী ও ছেলে দীপ মামার বাড়িতে থাকেন। পড়াশোনার পাশাপাশি দিন মজুরের কাজ করে সে। সেই দীপ এখন বাবার হত্যাকারীর কড়া শাস্তি দাবি করছে। হারানের দাদা এই প্রসঙ্গে জানান, ‘ভোট গণনার দিন তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মেরেছে। জামাল ছিল সেই সময়। ওই আসল অভিযুক্ত। ওকে বাড়ি থেকে তুলে গিয়ে খুন করেছে।’
বর্তমানে গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে। যদিও পলাতক সে। এ দিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে তৃণমূল বলে দাগিয়ে দিলেও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার বিধায়ক লাভলী মৈত্র। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, কোনও দলীয় পদে বা প্রশাসনিক পদে এই ব্যক্তি নেই।