শেখ শাহজাহান, জেসিবির পর সামনে এল আরও এক ‘বাহুবলী’ নেতার নাম। জয়ন্ত সিং। কামারহাটিতে মা ও ছেলেকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এই জয়ন্তর বিরুদ্ধেই। তবে জয়ন্ত সিং এখনও অধরা। এরই মধ্যে একে একে সামনে আসছে তাঁর কীর্তি। যাঁর নাম শুনেই তাঁর একের পর এক কীর্তির কথা বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জয়ন্ত সিং-কে এলাকায় ‘জায়েন্ট সিং’ নামেই চেনেন সবাই। আড়িয়াদহ এলাকায় কেউ তাঁকে বলেন ‘ডন’, কেউ বলেন ‘বস’। এলাকায় তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। একসময় মদন মিত্রের হাত ধরে তিনি তৃণমূলে প্রবেশ করেন। এরপর মদন মিত্রের সঙ্গে নাকি তৈরি হয় দূরত্ব। আড়িয়াদহ এলাকায় সাট্টা-জুয়ার ঠেক চালানো, তোলাবাজি, মধুচক্র চালানোর মতো অভিযোগ রয়েছে জয়ন্তের বিরুদ্ধে।
এক কথায় আড়িয়াদহ তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের ‘মাতব্বর’। বছর দেড়েক আগে এলাকায় তাণ্ডব চালানো এবং বোমাবাজির ঘটনায় জেল খাটতে হয় জয়ন্ত সিং। তারপর ছাড়া পেয়ে আবার স্বমহিমায় ময়দানে ফেরেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না তাঁকে। কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে জয়ন্ত সিং তৃণমূলেরই কর্মী। তবে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর দল এই অন্যায় কাজ সমর্থন করে না। সঙ্গে এও জানান, ‘এরা কখন কোন গাছের ছায়ায় থাকে, তা বলা মুস্কিল। এখন কোন গাছের ছায়া আছে, তা জানি না।’