খারাপ সংবাদ পর্যটকদের জন্য। বন্ধ করে দেওয়া হল জয়ন্তী-মহাকাল জঙ্গল সাফারি। সাফারি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে পর্যটনের উপর ভালো প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন আলিপুরদুয়ারের ব্যবসায়ীরা।
বন দফতরের তরফে অনির্দিষ্টকালের জন্য জয়ন্তী-মহাকাল রুটে জঙ্গল সাফারি বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার কারণ, জঙ্গলের মধ্যে রাস্তার পরিস্থিতি খারাপ। এছাড়াও জঙ্গলের মধ্যে হাতির বিচরণ বেড়ে গিয়েছে। পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল বলে জানিয়েছে বন দফতর।
যদিও, বন দফতরের এক সিদ্ধান্তে খুশি নন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। মূলত, মহাকাল পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে, ডুয়ার্সের মধ্যে জয়ন্তীর দিকে গেলে বেশিরভাগ পর্যটক মহাকাল মন্দির দর্শন করে আসেন। রাস্তা বন্ধ থাকার কারণেই অনেকটাই পর্যটক সংখ্যা কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। জয়ন্তী নদীর ধার ধরেই পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হত মহাকাল পর্যন্ত। বর্ষার সময় হড়পা বান আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, জয়ন্তী নদীতে অনেক পশু জলপান করতে আসে। জয়ন্তী বেড়াতে এল একবারের জন্য বড় মহাকালে যেতে না পারলেও ছোট মহাকালে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন।
এই প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্লব দে সরকার জানিয়েছেন, জয়ন্তীর ধারে যাঁরা ঘুরতে আসেন, তাঁরা একবার হলেও মহাকাল পর্যন্ত যান। এর সঙ্গে তাঁদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে পুরো জিপ সাফারি বন্ধ না করে অন্তত সপ্তাহে দু’দিন যাতে সাফারি চালু রাখা যায়, সে ব্যাপরে বন দফতর ভেবে দেখুক বলে আর্জি তাঁদের।
এমনিতেই জঙ্গলের রাস্তায় বিপদের ঝুঁকি থেকে যায়। এর মধ্যে হাতির বিচরণ বেড়ে যাওয়ায় পর্যটকদের বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এমনিতেই, মহাকাল পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার জন্য গাড়ি নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। সেই কারণে, যতদিন না পর্যন্ত রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে, ততদিন এই সাফারি বন্ধ রাখার কথা চিন্তাভাবনা করছে বন দফতর। যদিও বক্সা টাইগার রিজার্ভের ডিএফডি (ইস্ট) দেবাশিস শর্মা ওই সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছে, মহাকাল যাওয়ার রাস্তা বন্ধ থাকলেও জয়ন্তীর অন্যান্য রুটে সাফারি আগের মতোই চালু থাকবে।