শিলদা মাওবাদী হামলার ঘটনায় ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল ঝাড়গ্রাম আদালত। ২০১০ সালে শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা। এই মামলাতেই জেলবন্দি ২৩ জন মাওবাদীকে মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত করে ঝাড়গ্রাম আদালত।
ঝাড়গ্রাম আদালত সূত্রে খবর, ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সালিম সাহির এজলাসে ১৪ মাওবাদীকে পেশ করা হয়। এদিকে এই মামলায় ৯ জন জামিনে মুক্ত রয়েছে। তবে তাঁদেরকেও মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়। এরপরই ঝাড়গ্রাম আদালতের বিচারক এ দিন অভিযুক্ত ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চত্বরে থাকা ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদীরা হামলা চালিয়েছিল। ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে ২৪ জন ইএফআর জওয়ানকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। জওয়ানের পাল্টা প্রতিরোধে ৫ জন মাওবাদী মারা যান। তবে এই ঘটনার পরই শিলদার সেই ইএফআর ক্যাম্প তুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে ইএফআর ক্যাম্পের অদূরে শিলদাতে করা হয় রাজ্য পুলিশের স্ট্রাকো ক্যাম্প।
প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলে মাওবাদী হামলায় এতো নৃশংস হত্যাকাণ্ড এর আগে কখনও হয়নি এ রাজ্যে। রাত ৯ টা নাগাদ এই ক্যাম্পে হামলা চালায় সশস্ত্র মাওবাদীরা। একের পর এক জওয়ানকে নৃশংস ভাবে গুলি করে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় দুই জওয়ান, উদ্ধার হয় মোট ৫ জন। লুঠ করা হয় পুলিশের অস্ত্রশস্ত্র। এর পরেই শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। এই মামলার মোট ২৪ জন মাওবাদীদের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই মামলায় প্রথম মাও নেতা রঞ্জন মুণ্ডাকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর একাধিক মাওনেতা-নেত্রী গ্রেফতার হলেও অধরা ছিলেন মাও নেত্রী সুচিত্রা মাহাতো। পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সুচিত্রা। প্রথমে এই মামলা শুরু হয় ঝাড়গ্রাম আদালতে পরর্বতীতে সেই মামলা শুনানি শুরু হয় পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে। ইতিমধ্যে সুদীপ চোঙদার নাম এক মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়েছে।